মিনায় বাংলাদেশী হাজির মৃত্যু, জান্নাতুল মু’আল্লায় দাফন
মিনায় নিখোঁজের ৩ দিন পর লাশ পাওয়া বাংলাদেশী হাজী দিলওয়ারা বেগমের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে আজ। পরিবারের ইচ্ছা অনুয়ায়ী ইতালীর মিলান থেকে তার ছেলে মক্কায় পৌঁছানোর পর সন্তানের উপস্থিতিতেই মায়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মিলানে থাকা দিলওয়ারা বেগমের ভাই মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামি আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
টেলিফোনে তিনি জানান, তার বোন শ্রীমঙ্গলের উত্তরসূর এলাকার বাসিন্দা দিলওয়ারা বেগম গত ১লা সেপ্টেম্বর মিনায় পাথর নিক্ষেপকালে নিখোঁজ হয়ে যান। এ সময় হজে মুহরিম হিসাবে তার সঙ্গে ছিলেন আরেক ভাই মাহমুদ আহমেদ রুমি। ভাই-বোন আলাদা হয়ে যাওয়ার পর অনেক খোঁজাখুজি করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ৩রা সেপ্টেম্বর তার লাশ পায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাকে সনাক্ত করেন ভাই রুমি।
মিলান প্রবাসী সন্তান কামরুল হাসান রনি মায়ের লাশ দেখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। সে মতে সন্তানের অপেক্ষায় মায়ের লাশ প্রায় এক মাস হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়। জামি আহমদ জানান, রনি মক্কায় পৌঁছানোর পর বুধবার মসজিদ-উল হারামে তার জানাজা শেষে জান্নাতুল মু’আল্লায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মক্কার শীশ নাম এলাকার কিং মালিক ফয়ছল হাসপাতালে বরাতে মৃত দিলওয়ার বেগমের সহযাত্রী হাজিরা জানিয়েছেন, হজের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ মিনায় পাথর নিক্ষেপের সময় স্ট্রোকে মারা গেছেন হাজী দিলওয়ারা (৫৫)।
হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানিয়েছে। মিনা থেকে পুলিশই তার লাশ উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেয় বলেও তথ্য পেয়েছেন স্বজনরা।