• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অটিজম শিল্পীদের পরিবেশনায় ভার্চুয়াল বিশেষ অনুষ্ঠান

এখন থেকে শিল্পকলা একাডেমির সকল অনুষ্ঠানে অটিজম শিল্পীদের পরিবেশনা থাকবে : মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী

প্রকাশ:  ২৮ জুন ২০২০, ১৪:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল প্রশিক্ষণ ও অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অনলাইনে প্রতিটি জেলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সহসাই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিল্পীদের অংশগ্রহণে বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের সূচনা করা হলো।


গতকাল ২৭ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। উদ্বোধনী সূচনা পর্বের সঞ্চালক ছিলেন কুমিল্লা ও চাঁদপুর-এর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মুহাম্মদ আয়াজ মাহমুদ। এ সময় ভার্চুয়ালে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চাঁদপুর-এর নির্বাহী সদস্য ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন (চট্টগ্রাম)-এর নির্বাহী সদস্য শহীদ পাটোয়ারী, কুমিল্লা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার, চাঁদপুরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা কণ্ঠশিল্পী বিচিত্রা সাহা ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি চাঁদপুরের সঙ্গীত প্রশিক্ষক মৃণাল সরকার। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির অফিস সহকারী মোঃ আলমগীর হোসেন ও দেওয়ান মাসুদ।

 


চাঁদপুরের ৪ জন অটিজম শিল্পী সঙ্গীত, অভিনয় ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। এরা হচ্ছেন : প্রতিবন্ধী জহিরুল ইসলাম, নাহিদ আফরোজ সুজানা, সুব্রত সাহা ও জামিনা আক্তার। কুমিল্লার ৪ জন অটিজম শিল্পী পরিবেশন করেন নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি ও হামদ নাথ। এরা হচ্ছেন : বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আইরিন সুলতানা, মনিরা খায়ের অন্তু, সাহিদুল ইসলাম ও রাকিব খন্দকার।

 


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যে ক'টি বিভাগ নিয়ে সারাদেশে কার্যক্রম চলমান রয়েছে, এখন থেকে আরো ৪টি নতুন বিভাগ নিয়ে কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে ৪টি বিভাগ নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নতুন বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের অর্থাৎ অটিজম, শিশু বিভাগ, লোক সঙ্গীত ও নৃ-গোষ্ঠী বিভাগ। তারই অংশ হিসেবে এ করোনাকালীন সময়ে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অটিজম তথা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অটিজম শিল্পীরা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল অনুষ্ঠানে এখন থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে দেশের সংস্কৃতি চর্চা অনেকটা স্থবির হয়ে গেছে। যার ফলে হাজার হাজার নাট্য, সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তিসহ সকল পর্যায়ের শিল্পীরা কর্মহীন ও ঘরবন্দী হয়ে আছে। আমরা যারা শিল্পের জন্যে কাজ করছি, তাদের মনোবল ধরে রাখতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দুর্যোগকালীন সময়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশবাসীর কল্যাণে। তাঁর দিক-নির্দেশনা মেনে আমরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোবল ধরে রাখতে কাজ করে যাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক শিল্পী, কলা-কুশলীদের কথা চিন্তা করে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আসুন আমরা সবাই মানবতার মা হিসেবে খ্যাত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াই। তার হাতকে শক্তিশালী করি।

সর্বাধিক পঠিত