• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বিতার্কিকদের সাথে প্রণোদনামূলক সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি

আমার এতোদূর আসার পেছনে বিতর্কের অবদান অনেক

প্রকাশ:  ১৫ জুন ২০১৯, ০৮:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ প্রতিযোগিতা ‘একাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা’র ফাইনালে আসা ৮টি দলের ২৪ জন বিতার্কিককে প্রণোদনা দেওয়ার জন্যে বিতার্কিক, বিতর্ক বিষয়ক শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে প্রণোদনামূলক সভার আয়োজন করা হয়। সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের খ্যাতিমান বিতার্কিক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। শিক্ষার্থীদের প্রণোদনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিতর্ক নিছক একটি প্রতিযোগিতা নয়, বিতর্ক একটি স্পর্শকের নাম। যার স্পর্শে মানুষ জীবনকে শুদ্ধ করে তুলতে পারে। বিতর্ক প্রতিটি মানুষকে পরমতসহিষ্ণু করে তোলে। প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কথা বলার মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনার যে কৌশল তা বিতর্কের মাধ্যমেই সম্ভব। একজন শিক্ষার্থী কী শিখবে আর কী শিখবে না, তাও শেখায় বিতর্ক। আমার ব্যক্তি জীবনে এতদূর আসার পেছনে বিতর্কের অনেকটা অবদান রয়েছে। তাই বিতার্কিক বন্ধুদের বলবো, বিতর্ক চর্চা থেকে কোনোভাবেই পিছু হটা যাবে না। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের পূর্বে চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির উপাধ্যক্ষ রাসেল হাসান নতুন বিতার্কিক সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি স্কুলে একজন এমপিওভুক্ত বিতর্ক বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে জাতীয় বিতর্ক দিবস ঘোষণা করার দাবি জানালে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে উপস্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিক বলে সমর্থন জানান এবং বলেন, মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। আগামী ১৭ জুন একাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বিজয়ীদের তিনি আগাম অভিনন্দন জানান।
গতকাল ১৪ জুন শুক্রবার বিকেল ৪টায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনস্থ কনফারেন্স হলে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ফাইনালে আসা প্রতিটি বিতর্ক দলের বিতার্কিক, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। উপস্থিত ছিলেন অভিভাবকবৃন্দ। চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক কাজী শাহাদাতের প্রাঞ্জল সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সনাক চাঁদপুর সভাপতি, বাবুরহাট হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক নূর খান, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ আহম্মেদ, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ, শাহরাস্তি ন্যাশনাল ভিক্টোরী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুন্নবী রবিন চৌধুরী। এর পূর্বে ফাইনালের প্রস্তুতি নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন উল্লাস পর্বে আসা ৮টি বিতর্ক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও দলপ্রধানগণ। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের নূরুন নাহার, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের মাসুদুর রহমান, মাতৃপীঠের সরকার মোহাম্মদ সেলিম, বাবুরহাট হাইস্কুলের মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিতার্কিকদের উদ্দেশ্যে প্রণোদনামূলক বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমির অধ্যক্ষ ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, উপাধ্যক্ষ রাসেল হাসান, সিকেডিএফ-এর সহ-সভাপতি এএইচএম আহসান উল্যাহ, সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রী রাজন চন্দ্র দে প্রমুখ। অভিভাবকদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সদ্য বিদায়ী সহযোগী অধ্যাপক মোঃ গোলাম মোস্তফা এবং বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, চাঁদপুরের সভাপতি মুক্তা পীযূষ।
শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের পূর্বে প্রতিটি বিতর্ক দলের সাথে গ্রুপ ছবিতে অংশ নেন। এ সময় তিনি খুদে বিতার্কিকদের জড়িয়ে ধরেন এবং তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করেন। অনুষ্ঠানে চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পর্ষদ ও চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিটির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।