সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুর-এর নবপর্যায়ের সাহিত্য আসরের ৫ বছর পূর্তি
সাহিত্যের বিকাশে সাহিত্য একাডেমী অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে : অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মঈনুল হাসান
চাঁদপুরের সাহিত্য বর্তমানে সোনালি সময় অতিক্রম করছে : মহাপরিচালক কাজী শাহাদাত
সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুর-এর নবপর্যায়ের সাহিত্য আসরের ৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল ২৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল ৪টায় সাহিত্য একাডেমী মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে চাঁদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার কবি-লেখকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। আসরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-সচিব হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মঈনুল হাসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাহিত্য আসরের ৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসে আমি আনন্দিত। চাঁদপুরের সাহিত্যের বিকাশে সাহিত্য একাডেমী অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে। যার কারণে অনেক নবীন লেখক সাহিত্য আসরে এসে ঋদ্ধ হচ্ছেন। তাদের প্রতিভার বিকাশ হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক। আশা করছি, নতুন বছরে সাহিত্য একাডেমী নতুনভাবে যাত্রা শুরু করবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ চাঁদপুরের সাহিত্য একাডেমীর কার্যক্রম আরো বেশি সক্রিয় হবে। তিনি এ সময় উপস্থিত কবি ও লেখকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
লেখক ও প্রাবন্ধিক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য একাডেমীর মহাপরিচালক কাজী শাহাদাত। বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমী-চাঁদপুরের সহ-সভাপতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জীবন কানাই চক্রবর্তী, চাঁসক বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদুজ্জামান, লেখক পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরী, তছলিম হোসেন হাওলাদার, চাঁদপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারিক তৃপ্তি সাহা, চাঁদপুর লেখক পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, কবি সালাহ উদ্দিন, ইকবাল পারভেজ, ইনার হুইল ক্লাব অব চাঁদপুর সেন্ট্রালের সাবেক সভাপতি মুক্তা পীযূষ, ছড়াকার খান-ই-আজম, কবি মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, আলিজা হোসেন, শাহমুব জুয়েল, আবু ইউসুফ শিমুল, ফয়সাল মৃধা, আবদুর রাজ্জাক, মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া, এইচএম জাকির, হোসাইন মিলন, ফাতেমা আক্তার শিল্পী, নিঝুম খান, দেওয়ান পারভেজ, আছমা আক্তার, ইমরান নাহিদ, শামীম হাসান, হাসান বেপারী প্রমুখ। সৌদি আরব থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কবিতা পাঠ করেন জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে কাজী শাহাদাত বলেন, আজকে আমরা একটি আনন্দঘন দিনে উপস্থিত হয়েছি। সাহিত্য একাডেমীর ইতিহাসে এটি একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। টানা ৫ বছর মাসিক সাহিত্য আসরের রেকর্ড আমরা গড়লাম। প্রতিটি আসরই সাহিত্যকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুখরিত ছিলো। আমি এ পর্যন্ত যাঁরা সাহিত্য আসরে উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের সাহিত্য বর্তমানে সোনালি সময় অতিক্রম করছে। আমরা সাহিত্য একাডেমীকে আরো ঢেলে সাজাবো। জাতীয় সাহিত্যে বর্তমানে চাঁদপুর জেলার লেখকদের উপস্থিতি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি, আগামীদিনে চাঁদপুরের লেখকরা জাতীয় পর্যায়ে আরো বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি এজন্যে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উপস্থিত লেখকরা স্বরচিত কবিতা ও ছড়া পাঠ করেন। পরে পাঠকৃত লেখার ওপরে আলোচনা-সমালোচনা করেন সাহিত্যিকবৃন্দ। দ্বিতীয় পর্বে লেখকরা সাহিত্য একাডেমীর মাসিক আসর নিয়ে স্মৃতিচারণ ও প্রত্যাশা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। আসরে সদ্য প্রয়াত কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে স্মরণ করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী সাধন সরকার, সাংবাদিক মুহাম্মদ আবদুর রহমান গাজী, আমির আলী চৌধুরী, সাবের হোসাইন প্রমুখ।