জাতি আর তামাশার নির্বাচন দেখতে চায় না

স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও এ দেশে একটি টেকসই নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। জনগণ আর রাতের ভোট মেনে নিবে না। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ক্ষমতা দেয়া উচিত নয়। নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ড সোজা করতে হবে। জাতি আর তামাশার নির্বাচন দেখতে চায় না। সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে সকল উন্নয়ন ধূলায় মিশে যাচ্ছে দুর্নীতির কারণে। কোরআন সুন্নাহ আইন বাস্তবায়ন হলে দুর্নীতি উঠে যাবে। আজ মানুষের কোনো কিছুর নিরাপত্তা নেই। একমাত্র ইসলামী সমাজব্যবস্থা চালু হলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব। জামায়াত আবার মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। এদের শক্তির উৎস কোথায়? স্বাধীনতাবিরোধী আমেরিকা তাদের শক্তি দিচ্ছে। আমেরিকার কোনো অধিকার নেই আমাদের উন্নয়ন বন্ধ করার। সরকারকে আহ্বান করছি এ ধরনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে। এ দেশের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। এ দেশ অলি-আল্লাহর দেশ। ঘুষ-দুর্নীতি চিরতরে বন্ধ করতে হলে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতে হবে। ইসলামী ফ্রন্ট এক বার ক্ষমতায় গেলে ১শ’ গুণ বেশি কাজ হবে। সরকারের সকল উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে শুধুমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে।
নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতিবাচক ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের নৃশংসতা-নিষ্ঠুরতায় গোটা ফিলিস্তিন এখন বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ পৃষ্টপোষকতায় ইসরাইলী বাহিনী গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। গাজায় এখন মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। এহেন অবস্থার পরিবর্তন না হলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের অস্তিত্বই সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং মসজিদুল আকসার দখল মুক্তিই একমাত্র এই নেতিবাচক অবস্থার অবসান ঘটাতে পারে। বিপন্ন ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে ইতিবাচক সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের এগিয়ে আসা সময় ও ঈমানের দাবি।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ শাহরাস্তি উপজেলা শাখার উদ্যোগে ২৮ অক্টোবর শনিবার বিকেল দুটায় নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অনুষ্ঠিত জনসভায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জাতীয় নেতা পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জনসভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর ও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টু।
বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আল্লামা হুজ্জাতুল্লা নকশবন্দী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জননেতা আল্লামা মোশারফ হোসেন হেলালী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব স. ম. হামেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ শাহরাস্তি উপজেলা সভাপতি জননেতা মাস্টার হেলাল আহমদের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব এইচ. এম. মুজিবুল হক শাকুর, দপ্তর স¤াদক মাওলানা এ. এম. মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, ইসলামিক যুবফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আল্লামা মুহাম্মদ মনির হোসাইন ও ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি ছাত্রনেতা অ্যাডঃ মুহাম্মদ ফরিদ মজুমদার।
অ্যাডঃ মুহাম্মদ ইমদাদুল হক পাটওয়ারী ও জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ হাসান মাহমুদীর যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ আবুল হাশেম মিয়াজি, মাস্টার মুহাম্মদ মোহতাসিম বিল্লাহ, মাষ্টার মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ জাকির হোসেন মিয়াজি, মুহাম্মদ হাসান মজুমদার, মাওলানা মুহাম্মদ আলী নকশবন্দি, আল্লামা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম হেলালী, সাংবাদিক মুহাম্মদ মনজুর আলম পাটওয়ারী, মাওলানা মুহাম্মদ বদিউজ্জামান, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ নেয়ামুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সাইফি, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোঃ মমিনুল ইসলাম রুবেল, মমতাজ আরেফিন হেলালী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। জনসভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।