• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের সাথে সম্পৃক্ত মিজান পুলিশের হাতে আটক

প্রকাশ:  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটক মোঃ সোহাগ (২৫)-এর পর এবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে মিজানুর রহমান (৫২) নামের একজন। এ নিয়ে খুনে সরাসরি জড়িত ২ জন আটক হলো। উভয়কে নিয়ে চুরিকৃত একটি কাঁসা/পিতলের মগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এসব  মালামালের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটক মোঃ সোহাগ ও সন্দেহভাজন হিসেবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ১২ জনসহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় তাদের সাথে অন্য যারা সম্পৃক্ত ছিলো বা আটকৃতদের মধ্যে আছে, তদন্তের স্বার্থে র‌্যাব ও পুলিশ এমন তথ্য জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে।
জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমানসহ চোরচক্র মদ পান করে চুরির উদ্দেশ্যে জানালার গ্রিল কেটে দুলাল সাহার বসতঘরে প্রবেশ করলে ঘরে থাকা উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান (৭০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মন (৫৫) ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং তাদেরকে চিনে ফেলে।
এ সময় তারা ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে হাত-পা, চোখ বেঁধে বিছানার উপর বালিশ চাপা দিয়ে তাদেরকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় চোরচক্র। যা আসামী মোঃ সোহাগ র‌্যাবের কাছে স্বীকার করে। চুরিকৃত মালামাল ওই দিন রাতেই মিজানের ঘরে রাখা হয় এবং পরে মিজান একটি কাঁসা/ পিতলের মগ রেখে অন্য মালামাল একজন ভ্রাম্যমাণ হকারের কাছে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
শুক্রবার বিকেলে পুলিশ মিজানের ঘর থেকে কাঁসা বা পিতলের মগটি উদ্ধার করে। এদিকে র‌্যাব ও পুলিশের হাতে আটককৃতরা হলো- রাশেদ, রাকিব, আলমাছ, দিদার, মাসুদ, শ্যামল, হারেছ, আলামিন, ফয়সাল, সোহাগ, মিজানুর রহমান ও বাবুল, মাসুদ। এর মধ্যে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমান সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করেছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

 

সর্বাধিক পঠিত