• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সামগ্রিক সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইলিশ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব : জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান

প্রকাশ:  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

‘জাটকা এবং মা ইলিশের পাশে, আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে’ এ প্রতিপাদ্যে চতুরঙ্গ  সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের ৩য়দিন ছিলো গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় গোল টেবিল বৈঠকের আলোচনা। উক্ত আলোচনায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন জেলা  প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, ক’দিন আগে একটি পত্রিকায় চাঁদপুরের ইলিশের দাম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তখন আমি চাঁদপুরসহ যেসব জেলায় ইলিশের বাজার রয়েছে, সেসব বাজার থেকে ইলিশের মূল্য সংগ্রহ করি। এতে দেখা যায় চাঁদপুরে ইলিশের মূল্য অস্বাভাবিক নয়।
তিনি ইলিশ সম্পদ রক্ষার বিষয়ে বলেন, আমরা আইন প্রয়োগ আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ইলিশ রক্ষার বিষয়ে সফল হতে পারবো না। ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে মাছ খাওয়া যেহেতু নিষিদ্ধ করা হয় না, সেহেতু ভোক্তাদের সচেতনতা জরুরি। তারা যদি অবৈধভাব ধৃত ইলিশসহ অন্যান্য মাছ না কিনে ও না খায়, তাহলে পরিস্থিতি অনেক পাল্টে যাবে। এজন্যে ভোক্তাসহ সামগ্রিকভাবে সবাই সচেতন হলে ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালালে ইলিশ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হবে।
অন্য বক্তারা বলেন, রূপালী ইলিশ খ্যাত চাঁদপুরকে সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল ইলিশের জন্যে ব্র্যান্ডিং করে গেছেন। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে ডুবো চর কেটে দিলে ইলিশ নির্বিঘ্নে নদীতে চলতে পারবে এবং চাঁদপুরে আগের মতো ইলিশ পাওয়া যাবে, আর তাতে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামের সার্থকতা প্রতিপন্ন হবে।
বক্তারা বলেন, ইলিশ উৎসবের জন্যে উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এমন সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইলিশ উৎসবের আহ্বায়ক রোটাঃ কাজী শাহাদাত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার। ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশীদের সঞ্চালনায় সভাপ্রধান ছিলেন বিসিকের ইয়র্ক ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সেলিম খান।
বিকেল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী শুভ্র রক্ষিত, অর্পিতা রক্ষিত ঘোষ, রাজীব চৌধুরী, মুন্না ঘোষ, প্লাবন ভট্টাচার্য, এমএইচ বাতেনসহ শিল্পীরা।
এরপর সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় নারী ভাবনা অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুর লতিকা নৃত্যালয়ের নৃত্যানুষ্ঠান, সুরধ্বনি একাডেমির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়া সাধনা সরকার ও অনুপম চক্রবর্তীর গান পরিবেশন এবং সুমন শীলের দোতারা বাজানো হয়।

সর্বাধিক পঠিত