শিশু শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিলেন ইউএনও
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ নেই এমন সংক্রান্ত একটি সংবাদ চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশের কদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের বসার জন্যে ৩৪ জোড়া বেঞ্চ পৌঁছে দিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম। বেঞ্চ পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি। ঘটনাটি উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়ের আহমেদাবাদ (রামরা) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজারগাঁও ক্লাস্টারের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে দেয়ার জন্যে পাশের বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মেরামতযোগ্য ৩৪ জোড়া বেঞ্চ সংগ্রহ করেন ইউএনও। পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেঞ্চগুলো মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। এরপরেই গত সপ্তাহে বিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয় বেঞ্চগুলো।
বিদ্যালয়ে ৩৪ জোড়া বেঞ্চ পেয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি। প্রাথমিকভাবে বেঞ্চ সংকট সমাধানে তারা উপজেলা প্রশাসনের প্রতি খুশি। সরজমিনে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির এখন প্রধান সমস্যা সীমানা প্রাচীর ও শিক্ষক সংকট। বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চে বসে ক্লাস করছে সকল শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটি শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষক এবং অপর দুইটি শ্রেণিকক্ষে দুইজন সহকারী শিক্ষক (শিক্ষিকা) পাঠদান করাচ্ছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আজ সকালে শ্রেণিকক্ষে এসে তারা বেঞ্চগুলো দেখতে পেয়েছেন। এজন্য সবাই খুশি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হাছান মোস্তফা জানান, আমাদের পুরানো টিনশেড ভবন ও শ্রেণিকক্ষে থাকা অধিকাংশ বেঞ্চ ব্যবহার ও মেরামতের অনুপযোগী হয়ে গেছে। কয়েক মাস আগে আমাদের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই নতুন ভবনের সাথে নতুন বেঞ্চেরও বরাদ্দ আছে। কিন্তু বেঞ্চগুলো পেতে সময় লাগছে। আগে বেঞ্চগুলো ভবন নির্মাণের ঠিকাদার দিতেন, আর এখন জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে।
রাজারগাঁও ইউনিয়নের ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, আমার ক্লাস্টারে ৪৫টি বিদ্যালয় রয়েছে, আর আমি কয়েকমাস হলো দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে সবকটি বিদ্যালয় একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনকালীন সময়ে এই বিদ্যালয়টিতে (আহমেদাবাদ সপ্রাবি) কিছু বেঞ্চ সংকট দেখতে পাই। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বিষয়টি জানতে পেরেছেন। পরবর্তীতে স্যারের নির্দেশনা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমরা দ্রুততম সময়ে বেঞ্চগুলো মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করি। এরপর আজ (রোববার) ক্লাস শুরুর আগেই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চগুলো সাজানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের নজরে একটি সংবাদ এসেছে। পরবর্তীতে স্যারের নির্দেশনায় বিদ্যালয়ে বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি একটি সাময়িক সমস্যা। আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ওই ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বলেছি। আশাকরি আগামি মাসের মধ্যেই নতুন ভবনের সাথে বরাদ্দকৃত বেঞ্চগুলো চলে আসবে। বাকি যেসব সমস্যা আছে। তা পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।