নেতার ছেলের কোদালের কোপে বিধবা নারী রক্তাক্ত জখম
চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ায় মাটি কাটার কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাজেদা খানম (৫০) নামে এক বিধবা বৃদ্ধা নারীকে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারী গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় শহরের প্রফেসরপাড়া মোল্লা বাড়ি রোডস্থ রহিম খাঁর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মাজেদা খানম ওই বাড়ির মৃত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ও রহিম খানের মেয়ে।
আহত মাজেদা খানম ও তার স্বজনরা জানান, চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাহের মোল্লার ছেলে শাহাদাত হোসেন মোল্লা ও বাবু মোল্লাসহ অজ্ঞাত আরো বেশ ক’জন মিলে তার উপর এ হামলা চালায়।
তারা জানান, তাহের মোল্লাদের সাথে তাদের জমি-জমা বিষয় নিয়ে কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও তারা ২০১৯ সালে গায়ে পড়ে জমির বিরোধ সৃষ্টি করে তাদেরকে মারধর করেছে। সে মামলাও বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। সেজন্যে পূর্ব শত্রুতার কারণেই তার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
ঘটনার দিন সকাল থেকে আহত মাজেদা খানম রাজমিস্ত্রী দিয়ে তার বাসার রিপেয়ারিং কাজ করাচ্ছিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে সে আস্তরের কাজের তদারকি করছিলেন। এমন সময় (দুপুর) হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পার্শ্ববর্তী বাড়ির তাহের মোল্লা, তার ছেলে শাহাদাত মোল্লা (২৪) ও বাবু মোল্লা (২২)সহ অজ্ঞাত আরো বেশ ক’জন মিলে চাঁদা দাবি করে কাজ বন্ধ করার কথা বলেই মাটি কাটার কোদাল দিয়ে মাজেদা খানমের মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। আহতের স্বজনরা জানান, তাহের মোল্লা আওয়ামী লীগের নেতা, সেই দাপটে ছেলেরা বিভিন্ন সময় আমাদের প্রতি হামলা করে। তার ছেলেদের কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। এ বিষয়ে মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এখন অসুস্থ হাসপাতালে আছি। সুস্থ হয়ে থানায় অভিযোগ করবো।
চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাহের মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ছেলে মানসিক রোগী। রাজমিস্ত্রির সাথে ধস্তাধস্তি ধরতে করতে গিয়ে মাজেদা খানমের মাথায় কোদালের আঘাত করে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে। আমি তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। আমরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেবো।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।