• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চতুরঙ্গের সপ্তাহব্যাপী ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসব উদ্বোধন

জননেত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুরবাসীর জন্যে একের পর এক অবিস্মরণীয় অবদান রেখে যাচ্ছেন

----শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি

প্রকাশ:  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর-৩ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, আমি যেদিন নৌকা প্রতীক নিয়ে চাঁদপুরে এসেছি, সেদিন থেকে আমি চাঁদপুরবাসীকে কথা দিয়েছিলাম, আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে আমি আপনাদের কল্যাণে কাজ করবো। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী শেষ জনসভায় আমি মেঘনাপাড়ের কন্যা হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলাম, চাঁদপুরের জনগণ আপনার নৌকা প্রতীক বিজয়ী করলে আপনি চাঁদপুরের জনগণের প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুরবাসীর জন্যে একের পর এক অবিস্মরণীয়  অবদান রেখে যাচ্ছেন।
তিনি গতকাল শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত চতুরঙ্গের ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। চাঁদপুরের ইলিশ উৎসব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি চাঁদপুরের ঐতিহ্যের একটি বিশাল অংশে পরিণত হয়েছে।  চাঁদপুরের এই  ঐতিহ্য তথা ইলিশ রক্ষায় যে মহতী উদ্যোগটি বিগত ১৫ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। এই সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জেলেরা অনেক সচেতন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ইলিশ সম্পদ রক্ষায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো ২ মাস অভয়াশ্রম। এ বিষয়ে বেশ কয়েক বছর আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জেলেদেরকে সচেতন করতে পেরেছি। আমাদের জেলে ভাইয়েরা এ ২ মাস বেকার থাকে। এজন্যে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। এতে জেলেরা অনেক সচেতন ও খুশি। ফলে বর্তমানে আমাদের ইলিশ উৎপাদন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি চাঁদপুরের ইলিশ উৎসব উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় যে আন্দোলন চাঁদপুরে চলমান রয়েছে তা অব্যাহত রাখার জন্যে উৎসব উদ্যাপন পরিষদকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি এটি অব্যাহত রাখতে তাঁর পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি সবশেষে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদারের সভাপ্রধানে এবং মহাসচিব ও  ইলিশ  উৎসবের  রূপকার হারুন আল রশীদের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সেনানিবাসের সাবেক জিওসি মেজর জেনারেল (অবঃ) আলাউদ্দিন ওয়াদুদ বীর প্রতীক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. (অবঃ) এমএ ওয়াদুদকে সংবর্ধিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক রোটাঃ কাজী শাহাদাত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতারের গীটার শিল্পী অনুপম বিশ্বাস ও মৎস্যজীবী নেতা মানিক দেওয়ান।
সংবর্ধিত অতিথি মেজর জেনারেল (অবঃ) আলাউদ্দিন ওয়াদুদ বীর প্রতীক তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, চাঁদপুরকে বলা হয় ইলিশের রাজধানী। ইলিশ শুধু চাঁদপুরের সম্পদ নয়, দেশের সম্পদ, জাতীয় সম্পদ। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাদের আয়োজন দেখে সত্যিই আনন্দিত। আমি আজ অভিভূত, আপনারা আমাকে যে সম্মান দেখিয়েছেন তা আমৃত্যু আমার স্মরণে থাকবে।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা  লে. (অবঃ) এমএ ওয়াদুদ বলেন, নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে সেদিন দেশমাতৃকার টানে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, কোনো লোভ-লালসার জন্যে নয়। আজকে চতুরঙ্গ আমাকে যে সম্মান দেখিয়েছে, বস্তুত তারা এক মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দিয়ে দেশকে সম্মান দেখিয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেতারের গীটারশিল্পী অনুপম বিশ্বাসকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিকেল সোয়া ৪ টায় ‘জাটকা এবং মা ইলিশের পাশে, আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে’ স্লোগানে সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে  চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। সভাপ্রধান ছিলেন  চতুরঙ্গের  চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার। মহাসচিব হারুন আল রশীদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উৎসবের আহ্বায়ক কাজী শাহাদাত, মৎস্যজীবী নেতা শাহআলম মল্লিক, মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক দেওয়ান, মানিক দেওয়ান প্রমুখ। এরপর বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সাংবাদিকরা মুক্ত ভাবনার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক মাসুদ আলম, শরিফুল ইসলাম, ইব্রাহিম ও শাহরিয়ার পলাশ।
প্রথমদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠন, ঢাকার বয়াতী ও  ঢাকার নৃত্যরাগ একাডেমি।

 

সর্বাধিক পঠিত