গোপালগঞ্জের শীলা হত্যার মূল আসামী গ্রেফতার
মৈশাদীতে গোপালগঞ্জের শীলা খানম হত্যা মামলার মূল আসামীসহ আসামী ২ জন গ্রেফতার। ১নং আসামী-মোঃ রজিব হোসেন (২১), পিতা-মোঃ আজিজ মজুমদার সাং মৈশাদী ও ২নং মোঃ কামরুল হাসান হৃদয় (২২) পিতা-মৃত স্বপন খান সাং আশিকাটি, চাঁদপুর। ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের একটি বাগান থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের করপাড়া সরদার বাড়ীর শিলা খানম (২৮) নামে তরুনীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রেমিকসহ ২ যুবককে আটক করেছে পিবিআই। শুক্রবার রাত ১১টায় দাসাদী গ্রামের মাসুদ গাজীর বসত ঘর থেকে সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের প্রেমিক রাজিব মজুমদার, তার সহযোগী শাহতলী গ্রামের কামরুল হাসান হৃদয়কে পিবিআই আটক করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ২৫।
বিষয়টি শনিবার সকাল ১০টায় পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ প্রেসব্রিফিয়ের মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি জানান ধৃত আসামীদের কাছ থেকে শিলার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আসামী রাজিবের সাথে কয়েক বছর যাবত শিলার প্রেম ছিল। তাকে বিয়ের উদ্দেশ্যে চাঁদপুরে এনে বিবাহ না করে নির্জন বাগানে নিয়ে হত্যা করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মৈশাদী গ্রামের আদুর খাঁর বাড়ীর সামনের বাগান থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন।
মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর মৈশাদী গ্রামের আদুর খাঁর বাড়ীর সামনের বাগানে ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এসে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা এবং বাকী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।