• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে দিঘির মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আহত ১০

প্রকাশ:  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আলমগীর হোসেন (৩৫), রিফাত (২২), জিয়া (১৯), শাওন (২৪) ও পরান (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাবুর দিঘিতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সরোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বাবুর দিঘিতে মাছ ধরতে গেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ইমু বাধা প্রদান করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সারোয়ার হোসেন, সফর আলী সওদাগর, মোশারফ হোসেন নান্নু ও দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারী জানান, আমরা গত ১৫/২০ বছর যাবৎ বাবুর দিঘি লীজ নিয়ে মাছ চাষ করছি। দিঘিতে ৯ একরের মধ্যে ৭ একর ২৫ শতক সরকারি সম্পত্তি রয়েছে। গত ৩ বছর ৫৮ হাজার টাকা করে লীজের টাকা পরিশোধ করে আসছি।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধারা লীজ নিয়ে পরে মৌখিকভাবে সাব লীজ দিয়েছেন। কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা দিঘির ইজারা মূল্য থাকলেও সিন্ডিকেট করে সরকারের বড় অংকের রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ইমু জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে সাব লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এ দিঘিতে মাছ চাষ করছি। মুক্তিযোদ্ধারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে আমাদের চাষকৃত দিঘিতে জাল দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মাছ লুট করতে আসে। খবর শুনে বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর অর্তকিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোঃ সহিদুল্যাহ তপাদার জানান, ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এ বিষয়টি নিয়ে থানায় বসেছি। মাছ চাষীদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত থাকায় সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। তাই আগামী বুধবার আবার সুরাহার জন্যে বৈঠক হবে। দিঘিটি আমরা ২ বছরের জন্যে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার পাটওয়ারীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য উজ্জ্বল পাটওয়ারীর কাছে লীজ দিয়েছিলাম।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই সুমন মিয়া ও এএসআই মোঃ মহিউদ্দিন জানান, সংঘর্ষের সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে এসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল জানান, সংঘাতের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে থমথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

সর্বাধিক পঠিত