প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়কের সাথে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের মতবিনিময়
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মোঃ আখতার হোসেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর বড় ভাই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, যে কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এজন্যে এই গুরু দায়িত্ব আপনাদের পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি শুধু নিজের জন্য নয় বরং মানব কল্যাণে এটি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য। তাই শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশে কাজ করতে হবে। সময়ের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে। তিনি গতকাল ২৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাথে মতিবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন ছাত্র যদি ভালো মানের চিকিৎসক হয়ে বেরুতে পারে, তাহলে সে সমাজের জন্য অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমি মনে করি সে শিক্ষা গ্রহণ করে, মানুষ এবং সমাজের জন্য কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে এসে আপনাদের যে সমস্যার কথাগুলো শুননাম, এখানে না আসলে হয়তো তা বোঝা যেত না। শিক্ষক সঙ্কট ও শিক্ষার্থীদের থাকার সমস্যা। বিশেষ করে মেয়েদের থাকার যে সমস্যাটি সেটি সমাধান করা দ্রুত দরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও মহাপরিচালক একত্রিতভাবে চেষ্টা করলে এসব সমস্যা সমাধান সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, এসডিজির মূল লক্ষ্য হলো কোনো মানুষ পিছনে থাকবে না। যেটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো। বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেও কিন্তু তিনি এসব কথাগুলো বলেছিলেন।
তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো করছে। এসডিজির ১৭টি গোল। এসডিজির মূল কথাই হলো কেউ পিছয়ে থাকবে না। বাংলাদেশে ২০১৫ সালে এসডিজি গ্রহণ করা হয়। এসডিজি বাস্তবে প্রাথমিকভাবে ৪১টি টার্গেট পূরণ করতে হয়। সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এসব টার্গেট পূরণ করে যাচ্ছে। জীবন মান উন্নয়নে যতগুলো সূচক রয়েছে, সবগুলো সূচকেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তার মানে সরকার কাজ করছে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকে নিজ স্থান থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হারুন অর রশিদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ টিটো মিঞা ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মোঃ মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাপসাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান।
সভার সঞ্চলনায় ছিলেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডাঃ মোঃ হারুন-অর-রশিদ।
আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (প্যাথলজি) ডাঃ মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল, সহকারী অধ্যাপক (কমিউনিটি মেডিসিন) ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র।
উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ সচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব (এসডিজি) সোহেল আহম্মেদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন নবী মাসুম প্রমুখ।
সভায় শোকের মাস হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদের রুহের মাহগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মোঃ আখতার হোসেনসহ কর্মকর্তারা চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও সরকারি জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে অতিথিগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।