চাঁদপুরে জেলা বিএনপির পদযাত্রা
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল ১৯ আগস্ট শনিবার বিকেলে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জেলা শহরের শহরের হাজী মহসিন রোড থেকে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড় হয়ে এই পদযাত্রা শুরু করে। এই পদযাত্রা কর্মসূচিতে চাঁদপুর শহর ছাড়াও ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও মতলব থেকে অনেক নেতা-কর্মী যোগ দেয়। এছাড়া অন্যান্য উপজেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা আসে। বলতে গেলে সকল উপজেলা থেকেই নেতা-কর্মীরা এই পদযাত্রায় যোগ দেয়।
পদযাত্রাটি প্রায় আধা কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জেলা বিএনপি কার্যালয় সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, আজকের পদযাত্রা কর্মসূচির বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করে চাঁদপুরে আন্দোলন হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘন্টা এখান থেকে শুরু। আমাদের নেতা তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও সকল মামলা প্রত্যাহার না হলে নির্বাচন হবে না। সরকার তার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে সিল মারবে, এই নির্বাচন জনগণ করতে দিবে না।
তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের শপথ নিতে হবে সকল কর্মসূচি আমরা সফল করব। আমাদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা হবে সরকার হটাও আন্দোলনের। যারা আন্দোলনের এই প্রতিযোগিতায় পাস করবেন দল তাদের পুরস্কৃত করবে। দল আগেও করেছে এখনো করবে।
তিনি কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচি সফল করায় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিমের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এবং পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশীদ, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, দেওয়ান সফিকুজ্জামান, ফেরদৌস আলম বাবু, খলিলুর রহমান গাজী, শরীফ মোঃ ইউনুছ, আমিন উল্লাহ বেপারী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিমুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোশারফ হোসেন, চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ হারুনূর রশীদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম মন্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডঃ মুনিরা চৌধুরী, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বেপারী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর জাকির হোসেন, মতলবের তানভীর হুদা, হাইমচরের মাজহারুল ইসলাম শফিক, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন খান আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হযরত আলী, সদস্য সচিব কাজী মোঃ ইব্রাহিম জুয়েল, কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল, সাধারণ সম্পাদক হাবিব ভূঁইয়া, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি আলী আহমদ সরকার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমাম হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
পদযাত্রা কর্মসূচিতে ফরিদগঞ্জ থেকে এমএ হান্নান, হাজীগঞ্জ থেকে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের পক্ষে নেতা-কর্মীরা বিরাট মিছিল নিয়ে অংশ নিতে দেখা যায়। এছাড়াও অন্য নেতাদের মিছিলও এসেছে।
এই কর্মসূচিকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশী বাধা বা কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে জেলা বিএনপির সভাপতির বাসভবন ও বিএনপি অফিস সড়কের সামনে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বাক্বিতন্ডা হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়।