২০ মে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীনবরণ
শিক্ষামন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রী আসছেন
বহুল কাক্সিক্ষত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে ২০ মে শনিবার থেকে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন এবং নবীনবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হবে। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ২০ মে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে এই নবীনবরণ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নাছিম আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মেজর মোঃ আবদুল হাই (অব.)। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান শেষ করে অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হচ্ছে চাঁদপুর শহরের খলিসাডুলি ওয়াপদা গেট এলাকায়। সে এলাকার চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সাততলা ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাস। আর স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্যে নির্ধারিত স্থান হচ্ছে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদী এলাকায়। স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্যে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজ চলমান অবস্থায় আছে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বিভাগে ৯০জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হচ্ছে এটির শুভযাত্রা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৩০, ‘বি’ ইউনিটে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে ৩০ এবং ‘সি’ ইউনিটে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে ৩০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচ হাজারেরও অধিক আবেদনকারীর মধ্যে ৯০ জন ভর্তি করা হয়।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির স্বপ্ন। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবায়ন হচ্ছে।