নানুপুরে বেল্টকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে স্কুল ছাত্র নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামে কোমরে পরার বেল্টকে কেন্দ্র করে মেহেদী (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ঘাতক বরকতসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বরকত নিজে ইচ্ছে করে নিজের প্যান্টের সাথে ব্যবহৃত বেল্ট মেহেদীকে পরার জন্য দেয়। মেহেদী বেল্টটি হারিয়ে ফেলে। পরে দুটি বেল্ট কিনে বরকতকে দেয়। কিন্তু বরকত মেহেদীর কিনে দেয়া দুটি বেল নেয় না। তার নিজের বেল্টটি সে ফেরত চায়। এ নিয়ে ২৮ নভেম্বর দুপুরে নদীর পাড়ে বরকত মেহেদীকে মারধর করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বরকত মেহেদীর বাড়িতে গিয়ে ঘর থেকে ডেকে বাড়ির উত্তর পাশে নিয়ে যায় এবং ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করে। পরে আহত মেহেদীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মেহেদীর মা রুনা বেগম শিল্পী বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে বরকত হত্যা করে। সে মানুষের বাগানের সুপারি, পুকুরের মাছ চুরি করতো। এসব বিষয়ে আমার ছেলে মেহেদী বরকতকে নিষেধ করতো। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। বরকত তার চাচা জিলানী ও সাব্বির মেহেদী হত্যার এক সপ্তাহ আগে হুমকি দেয়। তারা আমার ছেলেকে হত্যা করে। তাদের সাথে আরো জড়িত আছে। এরা কিশোর গ্যাং। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
পাশের বাড়ির বয়োবৃদ্ধা রুমান নেছা (৮৫) বলেন, মেহেদী আমার সম্পর্কে নাতি হয়। সে কখনো কারো সাথে ঝগড়া করতো না। বরকত একটা খারাপ ছেলে। সে বিনা অপরাধে আমার নাতি মেহেদীকে একটা বেল্ট নিয়ে খুন করে। আমি তাদের বিচার চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোকজন জানান, মেহেদী ভালো ছেলে ছিলো। কারো সাথে ঝগড়া করতো না। বরকত খারাপ প্রকৃতির ছেলে। এ বয়সে যে বন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বন্ধুকে খুন করতে পারে তার ফাঁসি হওয়া উচিত। এবং এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা জরুরি।
উল্লেখ্য, মেহেদী, নানুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তারা ২ ভাই ২ বোন। নিহত মেহেদী সবার বড়।