লায়ন দিলীপ কুমার ঘোষের মাতার পরলোকগমন
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সংগঠক ও দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক লায়ন দিলীপ কুমার ঘোষ ও চাঁদপুর পৌরসভায় কর্মরত চন্দ্রনাথ ঘোষ চন্দনের গর্ভধারিণী মাতা মিলন রাণী ঘোষ গত ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ১০টায় ৫ মিনিটে চাঁদপুর শহরের মহিলা কলেজ রোডস্থ তার দ্বিতীয় ছেলের ভাড়া বাসা বৈশাখী ভিলায় পরলোকগমন করেন (দিব্যান লোকানস্ গচ্ছতু)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার মৃত্যু সংবাদে তাকে শেষবারের মত এক নজর দেখার জন্যে রাতেই অনেকে তার বাসায় ছুটে যান। মৃত্যুকালে তিনি পুত্র দিলীপ ঘোষ, চন্দ্রনাথ ঘোষ, মানিক লাল ঘোষ, প্রদীপ ঘোষ, দীপক ঘোষ, কন্যা বীনা রাণী ঘোষ, শিখা রাণী ঘোষ, শিউলী রাণী ঘোষসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
গতকাল ১৪ নভেম্বর রোববার সকাল ৯টায় চাঁদপুর মহাশ্মশানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মহাশ্মশানে নেয়ার পথে তাকে প্রথমে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দির ও নতুনবাজারস্থ শ্রী শ্রী গোপাল জিউড় আখড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকালীন চাঁদপুর মহাশ্মশানে ছুটে আসেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বিভিন্ন মঠ মন্দির ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুধীজন। তারা মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।
মিলন রাণী ঘোষের মৃত্যুতে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনাসহ শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশপূর্বক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক রোটাঃ আলহাজ্ব অ্যাডঃ ইকবাল-বিন -বাশার পিএইচএফ, প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত পিএইচএফসহ চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার পরিবারবর্গ।
বৈশাখী ভিলার আবুল কালাম আজাদের শোক
মিলন রাণী ঘোষের মৃত্যুতে বৈশাখী ভিলার মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ শোক প্রকাশপূর্বক শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, প্রয়াত মিলন রাণীকে আমি আমার মায়ের চোখে দেখতাম। তিনি অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমাকে দেখলেই বলতেন, কেমন আছো বাবা। আমি তার এ কথাটি আর শুনতে পাবো না। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করি।