• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মাদ্রাসার স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মানববন্ধন

তৃতীয় একটি পক্ষ সুকৌশলে সরকারের সাথে আলেম-ওলামা ও মুসলিম জনগোষ্ঠীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত

প্রকাশ:  ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 সারাদেশে ন্যায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবুর রহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি মেনে নিন। তা না হলে মাদ্রাসা শিক্ষা অতীতের নিউ স্ক্রীম মাদ্রাসার মতো স্কুলে পরিণত হবে। ২০২৩ সালের জন্য নতুন পাঠ্যবই স্কুল ও মাদ্রাসার একই পাঠ্য হবে মর্মে ঘঈঞই ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে যে সকল মূর্তি, উলঙ্গ ছবি, মেয়েদের বেপর্দা ছবি দিয়েছে। এগুলো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। এসব বই মাদ্রাসা দূরে থাকুক, স্কুলেও পাঠ্য করা সম্ভব নয়। আমাদের দাবি মেনে না নিলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ে সৃষ্টি জগত সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহর বিপরীতে নাস্তিক্যবাদী আকিদা উপস্থাপিত হয়েছে। গান-বাজনা, হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার, কুকুরের ছবি, মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে আন্তরিক। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়সহ ৫৬০টি মডেল মসজিদসহ বহুমুখী পদক্ষেপ তার প্রমাণ। কিন্তু তৃতীয় একটি পক্ষ সুকৌশলে সরকারের সাথে দেশের    আলেম-ওলামা, মাশায়েখগণের এবং সাধারণ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, মানববন্ধনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৪টি দাবি উপস্থাপন করছি। (১) মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। বিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ আলেমগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এই শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক  প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত চলমান পুস্তকে পাঠ দান অব্যাহত রাখতে হবে। (২) জমিয়তের ১৩ দফা ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। (৩) সাধারণ শিক্ষাতে ১০ বিষয়ে ১০০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাদ্রাসার শিক্ষার জন্য মূল বিষয় ঠিক রেখে সমন্বয় সাধন করে ১০০০ নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। (৪) স্কুলের ধর্ম শিক্ষাকে বোর্ড পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 
মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা দপ্তর সম্পাদক মুফতি মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আনম মহিবুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, সদর উপজেলার সভাপতি অধ্যক্ষ এটিএম মোস্তফা হামিদী, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মুফতি আনোয়ার মোল্লা প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণের সভাপতি অধ্যক্ষ আহম জাকারিয়া চৌধুরী, হাজীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আনিসুর রহমান, শাহারাস্তি উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, কচুয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোঃ আলী আক্কাস, হাইমচর উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান হামিদী প্রমুখ।