• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন : নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত

প্রকাশ:  ১০ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা দারুণ উজ্জীবিত। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দলের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। যে কোনো মূল্যে ঘোষিত তারিখেই যেনো ইউনিটগুলোর সম্মেলন হয়ে যায় এমনটাই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে, দল চাঙ্গা হবে-এটাই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রত্যাশা করেন। তবে তারা দলের বিভিন্ন ইউনিটের বর্তমান নেতৃত্বকে ব্যর্থ বলছেন না বা বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি যে তাদের অনাস্থা সেটাও নয়। তারা বলছেন, যে কোনো পর্যায়ের কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হলেই সম্মেলন করা উচিত। এর দ্বারা নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়, নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। আর সময় মতো সম্মেলন না হলে অনেক ত্যাগী ও প্রতিভাবান নেতারা হারিয়ে যান। এতে করে তাঁদের নেতৃত্ব থেকে দল এবং দেশ বঞ্চিত হয়। 
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সভায় চাঁদপুর জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন-তারিখ নির্ধারণ হয়। সে সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সভার সঞ্চালক এবং মূল দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। সভাটিও হয় হুইপের কার্যালয়ে। সভায় চাঁদপুর জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সম্মেলনের দিন-তারিখ নির্ধারণ হয়। 
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মেলনের তারিখ হচ্ছে-১০ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এর আগে ২২ নভেম্বর হাজীগঞ্জ পৌর, ২৬ নভেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলা, ২৭ নভেম্বর শাহরাস্তি উপজেলা, ৫ ডিসেম্বর হাইমচর উপজেলা, ৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর ও পৌর এবং ৮ ডিসেম্বর কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ পরে নির্ধারণ হবে বলে সভায় জানানো হয়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা সম্মেলনের এসব তারিখের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। 
এদিকে জেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা দারুণভাবে উজ্জীবিত। আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় এখন চাঙ্গা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন হওয়াটা খুবই জরুরি মনে করছেন তারা। বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজেদের মধ্যে রয়েছে দ্বিধা-বিভক্তি। একইভাবে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ বেশ কিছু নেতার চরম বিরোধ। জেলার পাঁচটি আসনের এমপিদের সাথেও রয়েছে জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দূরত্ব এবং বিরোধ। এসব বিরোধকে জিইয়ে রেখে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়াটা কঠিন হবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাই নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে দল চাঙ্গা হবে এবং নির্বাচনী চ্যালেঞ্জও তারা খুব ভালোভাবে নিতে পারবেন। আর নতুন নেতৃত্বের ফলে বর্তমানরা বিদায় নেবেন মানে এই নয় যে তাঁরা ব্যর্থ। বরং তাঁরা যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে যোগ্য নেতা সৃষ্টি করেছেন বলেই তাঁরা নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব দিয়ে তাঁরা বিদায় নিবেন। নেতৃত্ব পরিবর্তনকে এভাবেই দেখছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
ছবি-১৩
অতিরিক্ত বোঝাই আইচার ট্রাকগুলো এলজিইডির গ্রামীণ রাস্তাগুলো নষ্টের মূল কারণ
মোঃ ফারুক চৌধুরী ॥ অতিরিক্ত মাল বোঝাই আইচার ট্রাকগুলো এলজিইডির গ্রামীণ রাস্তাগুলো নষ্টের মূল কারণ। গ্রামীণ সড়কগুলো সিলকোট করে সাড়ে তিন টন ওজনের রোলার দ্বারা, যা প্রতি ফুট রাস্তা ১ টন ওজনের চাপ দেয়। অপরদিকে একটি আইচার ট্রাক যখন তিন হাজার ইট ভর্তি করে গ্রামীণ রাস্তায় চলাচল করে তখন পুরো ট্রাকটির ওজন ছাড়া শুধুমাত্র ইটের ওজন হয় প্রায় সাত টন। যা ট্রাকের ওজনসহ প্রায় আট টন ওজন বহন করে ওই গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে। তখন এক মাসের মাথায় রাস্তা ফেটে চৌরির হয়ে যায়। যার কারণে প্রতি বছর রাস্তা রিপেয়ারিং করতে হয়। 
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রাক্টর হতেও আইচার ট্রাকগুলো রাস্তার জন্যে অনেক বেশি ক্ষতির কারণ। তাই এলজিইডি কর্তৃপক্ষ অথবা পৌর কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত মাল বোঝাই করে চলাচল না করার জন্যে গ্রামীণ রাস্তার মাঝখানে ২০০ গজ পর পর খুঁটি পুঁতে দিলে আইচার ট্রাকের চলাচল রোধ করা সম্ভব। জনস্বার্থে ১ টনের পিকআপ চলাচলের অনুমতি দেয়া যেতে পারে।