হাজীগঞ্জে মজিবরের লাশ উদ্ধারে হত্যা মামলা
গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে হাজীঞ্জের বলাখাল-রামপুর সড়কের পাশের ঝোঁপ থেকে মজিবুর রহমান (৪৫)-এর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের ছোট স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
থানা পুলিশ জানায়, বলাখাল-রামপুর সড়কের বলাখাল মাদ্রাসার বিপরীত পাশে সড়কের পাশের ঝোঁপের মধ্যে মাটি আর পানির মধ্যে মজিবরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করার পর লাশের পরিচয় মিলে। লাশ উদ্ধারের ঘন্টাখানেকের মধ্যেই লাশের পরিচয় বের করে পুলিশ। পরে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে লাশ উদ্ধােের দিন শেষে রাতে মজিবরের ছোট স্ত্রী বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশের একটি সূত্রে জানা যায়, মজিবরের লাশ উদ্ধার থেকেই পুলিশ আলামত সংগ্রহসহ তদন্ত শুরু করে। মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে পুলিশ বিভিন্ন সূত্রে তদন্তে লিপ্ত হয়। কমপক্ষে ৪ সূত্র সামনে রেখে তদন্ত কাজ চলছে। তবে তদন্তের সার্থে সব কিছু বলতে নারাজ পুলিশ।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ জানান, বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর উপজেলার বহরিয়া গ্রামের লতিফ খানের ছেলে মজিবরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বলাখাল-রামপুর সড়কের বলাখাল মাদ্রাসা সড়কের বিপরীতে ব্যস্ত সড়কের পাশের ঝোঁপের মধ্যে মজিবরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
ঝোঁপের মধ্যে মজিবরের লাশের প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন শাহনেওয়াজ জানান, এদিন দুপুরে রামপুর বাজার থেকে বলাখালে আসার পথে ঝোঁপের পাশে প্র¯্রাব করতে বসলে লাশটি দেখে ভয় পেয়ে যাই। তাৎক্ষণিক আমি ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। মজিবর হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের গোগরা ভংগের বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রোকেয়ার স্বামী। স্ত্রী রোকেয়া বাবার বাড়ির পাশের দেবপুর গ্রামে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।