• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কোনো জমি অনাবাদী রাখা যাবে না

রাজারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশ

প্রকাশ:  ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১১:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 কৃষি জমি, বাড়ির পাশের পতিত জমি, বাড়ির উঠোনের পাশের জমি এক কথায় কোনো জমি অনাবাদী রাখা যাবে না। যে কোনো ধরনের ফসল ফলাতেই হবে। যার বাড়িতে বা যার জমি অনাবাদী থাকবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশনা দিয়েছেন হাজীগঞ্জের ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবাদুল হাদি মিয়া। তার ইউনিয়নে কোনো জমি অনাবাদী রাখা যাবে না এমন নির্দেশনার বিষয়টি চাঁদপুর কণ্ঠকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান হাদি নিজে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বতর্মান পরিষদ মেয়াদ মিলিয়ে টানা ৩য় বার নির্বাচিত হন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল হাদি মিয়া। ব্যতিক্রম ধরনের ও সাহসী উদ্যোগ নিয়ে সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন তিনি। তার হাত ধরে এক সময়ের অজপাড়াগাঁ হিসেবে খ্যাত রাজারগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা পাকা হয়ে গেছে, পুরো ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে, মাটির তৈরি প্রতিটি রাস্তা প্রশস্ত আর উঁচু করে বাঁধা হয়েছে, ৮০ ভাগ পরিবারকে আর্সেনিকমুক্ত খাবার পানি সরবরাহ করা হয়েছে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে, সকল সড়কে সোলার সিস্টেম স্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে। এমন সব ব্যতিক্রম কাজ করছেন চেয়ারম্যান হাদি। সর্বশেষ কোনো জমি অনাবাদী রাখা যাবে না বলে নির্দেশনা দেন ইউনিয়নবাসীকে। চেয়ারম্যানের দেয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কোনো কৃষক বা জমির মালিক নিজে চাষাবাদ না করলে অন্যকে পোষানী, বর্গা, সন মেয়াদী অথবা স্বেচ্ছায় অন্যকে চাষাবাদ করতে দিতে হবে। কোনো ফসলি জমি খালি রাখতে পারবেন না। ভিটা বাড়ি ও বাড়িতে খালি জায়গায় ফলদ, বনজ ও ঔষধী গাছ রোপণ করতে হবে।
এ বিষয়ে আলহাজ্ব আবদুল হাদি মিয়া জানান, এই ইউনিয়নের সকল জমির মালিক, পোষানি ও বর্গা ফসল চাষীদেরকে বলা হয়েছে তার নির্দেশনা। শাক সবজি কিংবা সকল ধরনের খাদ্যের অভাব দূর করার জন্যে ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করার জন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে তদারকি করে যাবো।