ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে দোকানপাট ও বসতঘরে হামলা ॥ থানায় অভিযোগ
চাঁদপুর শহরের জেটিসি কলোনী ও কুলিবাগান এলাকার এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা দোকানপাট ও বাসা-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ইভটিজিংয়ের শিকার কলেজ শিক্ষার্থীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেটিসি কলোনী ও কুলিবাগান এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আল-আমীন ভূঁইয়া মিশু (২৫) (পিতা সিরাজ ভূঁইয়া), সাগর ভূইয়া (২২) (পিতা বাদশা ভূঁইয়া), মন্টু ভূঁইয়া (২২) (পিতা- দুলাল পাটোয়ারী), সাদ্দাম (২০) (পিতা-আলমগীর) ও শুক্কুর (২২) (পিতা-আলী শেখ) এদের নেতৃত্বে আরো বেশ ক’জন প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেটিসি কলোনী ও কুলিবাগান এলাকায় মাদক বিক্রি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। শুধু তাই নয়, উক্ত এলাকা দিয়ে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা যাতায়াতকালে প্রতিনিয়ত উল্লেখিতরা ইভটিজিং করে আসছে।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী কলেজে যাওয়ার সময় গত ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উল্লেখিতরা বিভিন্নভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার কলেজ শিক্ষার্থী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ দায়েরের পরদিন ২৮ অক্টোবর বিকেলে উল্লেখিতরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জেটিসি কলোনীর উক্ত শিক্ষার্থীর পিতার দোকান, স্বজনদের বাসা-বাড়িসহ ৮/১০ স্থানে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। হামলাকারীরা প্রায় ১ ঘন্টা তা-ব চালায়। এ ঘটনা দেখে স্থানীয়রা চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদকে ঘটনার বিষয় অবহিত করলে তাঁর নির্দেশে মডেল থানার এসআই রাশেদ ও এএসআই হানিফের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গেলে উল্লেখিতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পৌর প্যানেল মেয়র অ্যাডঃ হেলাল হোসাইনও ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন।
অপরদিকে এলাকাবাসী ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, উল্লেখিত মিশু, সাগরসহ সংঘবদ্ধ এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মডেল থানায় বেশ ক’টি মাদক মামলা রয়েছে।
এমনকি স্থানীয় পত্রিকায় মাদকসহ আটকের সংবাদও ছাপানো হয়। আটকের পর জামিনে এসে আবারো একই কাজে এই চক্র পুনরায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখে।
তাই এলাকাবাসী উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের সকল অপকর্ম থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।