• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সিত্রাংকে উপেক্ষা করে পূর্ব পুরুষদের উদ্দশ্যে পূজাম-পে প্রদীপ প্রজ্বলন ॥ উৎসবে ভাটা

প্রকাশ:  ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গতকাল ২৩ অক্টোবর সোমবার ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রীশ্রী শ্যামা দেওয়ালী কালী পূজা ও দীপাবলির উৎসব। উৎসবকে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ বছর আয়োজকদের আয়োজনও ছিল ব্যাপক। নান্দনিক পূজা ম-প নির্মাণসহ আলোকে উদ্ভাসিত হয়েছিল যে সকল পূজা ম-প, গতকাল সে সকল পূজা ম-পেই দেখা গেছে অমানিশার অন্ধকার। ব্যাপক উৎসাহ আনন্দে জল ঢেলে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এদিন অনবরত বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় আয়োজকদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটা পড়লেও ভাটা পড়েনি পূজার আয়োজনে। তারা নিয়ম-নীতি মেনেই শ্যামা দেওয়ালী কালী পূজা সম্পন্ন করেছেন নির্বিঘেœ। তবে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। দীপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় যেভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ, বসতবাড়ি ঘৃত প্রদীপ বা মোমের আলোকে আলোকিত হয়ে উঠতো, গতকাল কিন্তু সে দৃশ্য তেমনভাবে দেখা যায়নি। তবে অনেকেই তাদের পিতৃ পুরুষদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছেন বিভিন্ন পূজা ম-পসহ চাঁদপুর মহাশ্মশানে, তবে তা ছিল খুবই নগণ্য।
সদ্য সম্পন্ন হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবও এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ আবাহাওয়া আর ঝড়, বৃষ্টির কারণে অনেকটাই বিঘিœত হয়। বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীরা পূজা দর্শন করা থেকে হয়েছিলেন বঞ্চিত, আসতে পারেননি দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ। তবে পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসবের শেষ দুদিনসহ বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। আয়োজকদের ইচ্ছে ছিলো দীপাবলির শ্যামা দেওয়ালী কালী পূজা সম্পন্ন হবে উৎসবমুখর পরিবেশে, দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে প্রতিটি পূজা ম-প পরিণত হবে উৎসবের মিলন মেলায়। কিন্তু শ্যামা দেওয়ালী কালী পূজা একদিনের হওয়ায় আর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব আজও থাকায় হয়তো আয়োজক ও দর্শনার্থীদের ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে যাবে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাবুরহাট এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
হাছান খান মিসু ॥ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নে। টানা বিদ্যুৎ না থাকায় ইন্টারনেট সেবাসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের খবরাখবর জানতে না পেরে আতঙ্কিত রয়েছে এ এলাকার জনসাধারণ। এছাড়া টানা বিদ্যুৎ না থাকায় বাবুরহাট বাজারের বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা তাদের ফ্রিজে থাকা মালামাল নিয়ে আতঙ্কিত রয়েছেন। ফার্মেসি ব্যবসায়ীরাও তাদের ফ্রিজে থাকা দামি ঔষধ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।  
সোমবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণ হিসেবে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২-এর সদরের ডিজিএম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অতিরিক্ত বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া স্থিতিশীল হলে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। 
এদিকে সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারা বিশুদ্ধ পানিসহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানির সঙ্কটে ভুগছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নি¤œ আয়ের সাধারণ মানুষ। এর আঘাতে ফসলি জমিতে অনেক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রোববার রাত থেকে শুরু হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টিতে বের হতে পারছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় চালক, ব্যবসায়ী ও নি¤œ আয়ের মানুষেরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে চাঁদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটা বিপর্যস্ত হয়েছে। সকাল থেকেই জেলা জুড়ে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেতে থাকে আর বিদ্যুতের বিপর্যয় বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চেষ্টা করলেও বিপর্যয় ঠেকাতে পারেনি। তারা কিছু লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করলেও ট্রিপ করেছে বার বার, অর্থাৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল বিদ্যুৎ। আবার কোনো কোনো লাইনে সারাদিনে এক ঘন্টাও বিদ্যুৎ ছিল না।
গতকাল সকাল থেকেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিলো অনেকটা বিচ্ছিন্ন। ঝড়ে গাছপালা বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
রাতের অন্ধকারে অগ্নিকা-
মতলব দক্ষিণে ৪টি দোকান পুড়ে গেছে
মতলব দক্ষিণ উপজেলাস্থ নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘোড়াধারী তিন রাস্তার মোড়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে আকস্মিক অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৪টি দোকান পুড়ে গেছে। অগ্নিকা- নির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান নূর।
জানা যায়, আগুন লাগার সময় গভীর রাত হওয়ায় সবাই ছিলো ঘুমে আচ্ছন্ন। সন্ধ্যা নামার আগে থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছিল। রাস্তায় লোক সমাগম ছিল খুব কম। মোড়ের দোকানিগণ প্রতিদিনের মত দোকান পরিচালনা করে নির্ধারিত সময়ে বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। গভীর রাতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত ঘটে থাকে। ৪টি দোকান পাশাপাশি অবস্থায় থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি। এ অগ্নিকা-ের ঘটনায় দোকান মালিকদের দৃষ্টিতে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ লক্ষাধিক টাকা। পাশাপাশি ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও সরঞ্জাম মতলব ফায়ার স্টেশন কর্তৃক উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম দোকান মালিক গাজী মোঃ আবুল হোসেন (পিতা-মৃত কালু মিয়া) ফার্মেসী ব্যবসা করতেন, দ্বিতীয় দোকানের মালক মোঃ শাহাবুদ্দিন (পিতা-স্যামেশা গাজী) ভ্যারাইটিজ স্টোর পরিচালনা করতেন, তৃতীয় দোকান মালিক জিল্লুর রহমান (পিতা-মৃত আমিন মিয়া) মুদি ব্যবসা পরিচালনা করতেন, চতুর্থ দোকান মালিক মোঃ আসলাম (পিতা-মৃত আশ্রাফ আলী শাহ্) চা ব্যবসা পরিচালনা করতেন। 
মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ২টি ইউনিট কর্তৃক অগ্নি নির্বাপণ করা হয়।
স্টেশনের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘটে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। দেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বাড়ছে, ঘূর্ণিঝড় ও অগ্নিকা- এড়িয়ে চলতে সবাই সতর্ক থাকুন।
যেসব ঝড়ে ল-ভ- হয়েছিল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও সন্দ্বীপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবেশ করেছে এই ঝড়। বাংলাদেশের পুরো ৭৩০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় সিত্রাং তার তা-ব দেখাতে পারে। ইতোমধ্যে সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টি শুরু চলছে।
গত তিন বছরে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়েছে তার চেয়ে সিত্রাংয়ের আঘাত হানার এলাকা অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ৮ নম্বর বুলেটিনে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে আগের ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সিত্রাংয়ের আঘাত হানার রূপ কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তার ধারণা পাওয়া যায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হানা দেওয়া তিনটি বড় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র থেকে।
২০২১ সালের ২৬ মে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। যার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার। এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের।
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ মে ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন আম্ফান, যার গতি ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় মৃত্যু হয় ১২৮ জনের। সেই সঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ছিল অনেক বেশি।
একইভাবে ২০১৯ সালের ৩ মে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফণী। যার প্রভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের ৮৯ জনের মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ ৩টি বড় ঘূর্ণিঝড়ের তুলনায় সিত্রাংয়ের আঘাত হানার সম্ভাব্য এলাকার বিস্তার আরও বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে ৭৩০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার পুরোটা জুড়েই সিত্রাং তার তা-ব দেখাতে পারে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৯১-এর ঘূর্ণিঝড়। এর গতি ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। এটি মূলত চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলে আছড়ে পড়েছিল।
১৯৯৭ সালের ১৯ মে সীতাকু- ও এর আশপাশের এলাকায় আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। ঘণ্টায় ২৩২ কিলোমিটার বেগের বাতাসের সঙ্গে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়। 
এরপর আসে ঘূর্ণিঝড় সিডর। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ছয় হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। যদিও প্রাণহানির সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হয় এখনও। সিডর খুলনা ও বরিশাল এলাকায় তা-ব চালায়। সমুদ্র থেকে উঠে আসা ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে সব কিছু ভেসে যায়। 

এরপর আসে ঘূর্ণিঝড় আইলা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূলে ২০০৯ সালে ২৫ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের ১৪৯ জন ও বাংলাদেশের ১৯৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে উপকূলে প্রায় তিন লাখ মানুষ গৃহহীন হয়।
পরের ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ২০১৩ সালের ১৬মে নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। এটির বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। এই ঝড় বাংলাদেশে ১৭ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়।
ঘূর্ণিঝড় কোমেন-২০১৫ সালের ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আঘাত হানে। বাতাসের গতি ছিল ৬৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু যা ২০১৬ সালে ২১ মে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে এবং ভারতে আংশিক অঞ্চলে আঘাত হানে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা ২০১৭ সালের ৩০ মে ১৪৬ কিলোমিটার বাতাসের গতিতে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী ২০১৯ সালের ৩মে আঘাত হানে। বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বাংলাদেশে নয় জনের মৃত্যু হয়। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বারবার দিক বদল করে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অতিপ্রবল হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগর দ্বীপ উপকূলে আঘাত হানে। পরে স্থলভাগ দিয়ে বাংলাদেশে আসায় ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কার চেয়ে কম হয়। ঝড়ে মারা যায় ২৪ জন। 
এরপরে গত ২০২০ সালের ১৩ মে ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন আম্ফান, যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় মৃত্যু হয় হয় ১২৮ জনের। সেই সঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ছিল অনেক বেশি। পরে ২০২১ সালের ২৬ মে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বাংলাদেশেও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই ঘূর্ণিঝড়। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।