আজ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ভাষাসৈনিক আবুল কাশেম চৌধুরীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী
চাঁদপুরের গর্ব ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবুল কাশেম চৌধুরীর আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০০ সালের এইদিনে রাত ১০টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বাদ আসর মরহুমের নিজ বাড়ি সংলগ্ন পুরাণবাজার চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মরহুমের আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিত থাকার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বড় ছেলে মোঃ নকীবুল ইসলাম চৌধুরী অনুরোধ জানিয়েছেন।
বর্ণাঢ্য সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আবুল কাশেম চৌধুরী চাঁদপুরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তাঁর পিতার নাম আমিনুল হক চৌধুরী, পিতামহ আমজাদ আলী ছিলেন ওই এলাকার জমিদার। কাশেম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি কাগমারি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫১-৫৫ সালে চাঁদপুর শহর যুবলীগের সভাপতি, একই সময়ে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৫৫-৭১ সাল পর্যন্ত মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৭২ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯০ সাল থেকে মৃত্যর আগ পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। পাকিস্তান সরকারের রোষানলে পড়ে ১৯৫৪ সালে তিনি ৭ মাস কারাবরণ করেন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক, শিক্ষা এবং ধর্মীয় কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি আমিনুল হক পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তাদের পরিবারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গণি মডেল হাইস্কুল এবং নুরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনি ১৬ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পুরাণবাজার জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।