সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল ১৯ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে নির্মাণ শ্রমিক লিটন পাঠান (৪৫) ও রাসেল প্রধান (২৮) ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধার কাজে নিয়োজিত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাগণ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের দক্ষিণে বারিগাঁও এলাকায় আবুল বাশার মোল্লার নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের কাজ চলছিলো। নিহত লিটন পাঠান ওই কাজ পরিচালনা করতেন। তিনি পুটিয়া গ্রামের ওয়ালী উল্লাহ পাঠানের ছেলে। আর নিহত রাসেল প্রধান হুরমহিষা গ্রামের আলী আর্শাদ প্রধানের ছেলে।
নিহতের একাধিক আত্মীয়-স্বজন জানান, তারা সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজ করতে যান। পরে বাড়ির মালিক তাদেরকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মুঠোফোনে আমাদেরকে খবর দেন।
বাড়ির মালিক আবুল বাশার মোল্লার স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো আমি তাদের কাজ দেখতে যাই। ওদের না দেখে মুঠোফোনে কল দিলে ট্যাংকের পাশে মোবাইল ফোনটি বাজছিল। পরে ট্যাংকের ভেতরে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দেই। ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। আবুল বাশার মোল্লা কচুয়া উপজেলার দোঘর গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। স্ত্রী মমতাজ বেগম অত্র উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, গত ৩/৪ বছর পূর্বে আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে আবুল বাশার মোল্লা তার বাড়ির কাজ শুরু করেন। একমাস আগে ট্যাংকের কাজ শেষ হয়েছিল। আজ (শুক্রবার) মালিককে মুঠোফোনে জানিয়ে সেন্টারিং খুলতে গিয়ে এদের মৃত্যু হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত ঘটানস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদ, ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ আশাদুজ্জামান, নারায়ণপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি স্বপন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতলব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিক এ ভবনের কাজ করে আসছিলেন। সকালে সেপটিক ট্যাংক (ঝবঢ়ঃরপ ঞধহশ) থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।