ফরিদগঞ্জে জুতা নিক্ষেপকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১
ফরিদগঞ্জের ১৪নং দক্ষিণ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মিস্ত্রি বাড়িতে পুকুরে জুতা নিক্ষেপ করার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে মোঃ কাইয়ুম (৪০) আহত হন।
জানা যায়, ১৮ জুলাই সোমবার দুপুরে আনুমানিক ১২টায় মোঃ মেহেদী (৮) প্রতিবেশী কামালের জুতা পানিতে নিক্ষেপ করে। এ সময় কামাল পুকুরে গোসল করছিল। এ নিয়ে কামাল ও তার পরিবার দিনব্যাপী শিশু মেহেদী, তার পিতা কাইয়ুম ও স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকে। সন্ধ্যায় শিশু মেহেদীর পিতা কাউয়ুম কাজ সেরে ঘরে ফিরলে একই বাড়ির জামাল, কামাল ও পরিবারের লোকজন তার উপর আক্রমণ করে এবং বসতঘরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় কাইয়ুম আহত হয়ে বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাইয়ুমের স্ত্রী রিনা বেগম (৩০) এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার শিশু ছেলে তাদের জুতা পানিতে ফেলে দিয়েছে। তারা আমাদের জানালে আমরা ছেলেকে শাসন করতাম। কামাল আমার ছেলেকে গালে ও পিঠে অনেক মেরেছে। সারাদিন গালিগালাজ করার পরেও আমার স্বামী কাইয়ুম বাড়ি আসলে তাকেও মারধর করে। আমার ঘর ভাংচুর করে। আমরা জীবন রক্ষায় ৯৯৯-এ পুলিশকে কল করলে পুলিশ এসে আমার স্বামীকে উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কাইয়ুম জানান, কামাল ও জামাল দুই ভাই এবং তার পরিবারের লোকজন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালায়।
অভিযুক্ত কামাল (৩৫) জানান, জুতা একবার উত্তোলন করার পরে আবারও ওই ছেলে জুতা পানিতে ফেলে দেয়। তারাই সারাদিন আমাদের গালিগালাজ করে এখন আমাদের উপর দোষ দিচ্ছে।
কালামের পিতা আলী আহম্মদ (৬৫) জানান, মারামারি মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কাধাক্কি হতে পারে।
জয়গুন (৬০)-এর স্বামী মৃত আহসান উল্যাহ জানায়, মারামারির মত কোনো কিছু হয়নি। উল্টো পুলিশ এসে হেলেনা (৩৫) ও ছেলে নাফিস (১৪)-এর গায়ে আঘাত এবং গালিগালাজ করেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মোশাররফ হোসেন জানান, ৯৯৯-এ অভিযোগের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। এলাকাবাসীকে আহত কাইয়ুমকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলি। শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।