কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের চমক
পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল করে রেকর্ড স্থাপন করলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। মেয়রের নির্দেশে মাত্র ৮ ঘণ্টায় চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের কোরবানির পশুর সকল বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
এমন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করায় চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায় পৌরবাসী। ঈদের দিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে পশু জবাই করা বর্জ্য অপসারণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে প্রায় ৩ হাজার পশু জবেহ করা হয়। চাঁদপুর পৌরসভার কোরবানির পশুর বর্জ্য দুপুর ১২টার পর থেকে অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যেই এসব কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এ বর্জ্য অপসারণে পৌরসভার পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩শ’ পরিচ্ছন্নতা কর্মী দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডের বর্জ্য রাত ৮টার মধ্যে শতভাগ অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান খান।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের নির্দেশে পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান খান বর্জ্য অপসারণ কাজের তদারকি করেন। বিশেষ করে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলররা স্ব-স্ব ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান খান জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাঁদপুর পৌর এলাকার কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ দুপুর ১২টা থেকে শুরু করা হয়। রাত ৮টার মধ্যে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ৩শ’ পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করেছে। কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজে ৮টি ট্রাক, ৬০টি ভ্যান ছাড়াও ২০টি ট্রলি নিয়োজিত ছিলো। মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পর পৌর এলাকাকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখার জন্যে পরিচ্ছন্নকর্মীরা রাস্তায়, ড্রেনে প্রায় ২ হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে কঞ্জারভেন্সী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘণ্টাই খোলা ছিলো।
ঈদের পরদিন পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির পাশে অন্যান্য সময়ের মতো আবর্জনার স্তূপ নেই। মূল সড়কের পাশেও নেই তেমন বর্জ্য। চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাঁদপুর পৌর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে যারা কোরবানি দিয়েছেন, তারাও সচেতন ছিলেন। পৌরবাসী কোরবানির পশুর বর্জ্য ড্রেনে না ফেলে রাস্তার পাশে স্তূপ করে রেখেছেন। এতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সহজে বর্জ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে। পৌর এলাকা পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখতে প্রায় ৩শ’ পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে কাজ করেছে। মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণে করতে সক্ষম হয়েছে পৌরসভা। বর্জ্য অপসারণে পৌরবাসীর সহযোগিতা, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ অবদানের জন্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মেয়র।