• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রতারণা করে বাগাদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিতে সদস্য করার অভিযোগ

প্রকাশ:  ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 জেলে কার্ডধারী কিছু জেলেকে প্রতারণা করে বাগাদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিতে সদস্য বানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। এক পর্যায়ে চাঁদপুর সমবায় অফিস কর্তৃক এ সমিতিকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রতারণা করে সমিতির সদস্য হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, যাদেরকে বাগাদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য বানানো হয়েছে এদের কেউ বাগাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা না। এরা সকলেই বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সদস্য বলেন, আমরা জেলে কার্ডধারী। আমাদের নিকট হতে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লোক মাধ্যমে নেয়া হয়। আমরা তাকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে দেই। কিন্তু আমাদেরকে বলেন না কি জন্যে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে। পরে শুনি আমাদের নিকট হতে নেয়া ভোটার আইডি কার্ডের কপি নিয়ে জাহিদ মেম্বার বাগাদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য বানিয়েছে এবং সমিতির নামে বালিয়া-রামপুর খাল ইজারা নেয়ার পাঁয়তারা করছেন। তারা আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। আমরা এর বিচার চাই। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদেরকে সমিতির সদস্য বানিয়ে খাল ইজারার পাঁয়তারা করে। এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হলে এর জন্যে আমরা কোনো দায়ী না।
সরজমিনে গত বৃহস্পতিবার বালিয়া ইউনিয়নের দিঘির পাড় গেলে এভাবেই কথাগুলো বলেন সমিতিতে সদস্য বানানো ক’জন ব্যক্তি। তারা বলেন, আমরা বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। আমাদেরকে বাগাদী ইউনিয়নের বাগাদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য বানানো হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জাহিদ মেম্বার এভাবে প্রতারণা করে নিরীহ মানুষকে না জানিয়ে সমিতির সদস্য বানানো ঠিক হয় না। সে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। এ কাজটা তার দ্বারা করা বিরাট অন্যায় কাজ। এছাড়াও এ সমিতি বন্ধ। সে বন্ধ-অকার্যকর সমিতির নামে কীভাবে ইজারা নেয়ার জন্যে আবেদন করে এটা প্রশাসনের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন (তপন) বলেন, আমরা সঠিকভাবে খাল ও দিঘি দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু জাহিদুল ইসলাম জাহিদ মেম্বার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ইজারায় অংশগ্রহণ করে। এমনকি যাদেরকে সমিতির সদস্য বানানো হয়েছে তাদেরকে না জানিয়ে সদস্য বানানো হয়। যাদেরকে সমিতির সদস্য বানানো হয়েছে তাদের নিকট শুধু ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি চেয়েছে। কী জন্যে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছে তা সদস্যদের বলা হয়নি। তাছাড়া যাদেরকে বাগাদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য বানানো হয়েছে এরা সবাই বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে সকলের সাথে প্রতারণা করেছে। এমনকি জাহিদ মেম্বার সরকারি জায়গায় খালের উপর দোকান উত্তোলনের পাকা পিলার করায় মাছ চাষাবাদে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে এলাকায় গেলে ও সদস্যদেরকে জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে। এ ব্যাপারে প্রশাসন তদন্ত করে বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দিবেন।

 

সর্বাধিক পঠিত