বদর যুদ্ধে বিজয় : হুজুর (দঃ)-এর প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্যের ফসল
গতকাল ১৭ রমজান ছিলো ঐতিহাসিক বদর দিবস। ইসলামের প্রথম বৃহত্তর যুদ্ধ হচ্ছে এই বদর যুদ্ধ। দ্বিতীয় হিজরীর পবিত্র রমজান মাসের ১৭ রমজান বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ দিনটি ছিলো শুক্রবার। এটাই ছিলো প্রথম ‘গায্ওয়া’ অর্থাৎ হুজুুর পাক (দঃ)-এর প্রত্যক্ষ পরিচালনায় বড় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে মুসলমানদের যুগান্তকারী বিজয় হয়েছিলো। পবিত্র কোরআনের ‘সূরায়ে আনফাল’-এ এর বিস্তারিত এবং অন্যান্য জায়গায়ও সংক্ষেপে এ যুদ্ধের বিবরণ এসেছে। যুদ্ধের প্রেক্ষাপট, প্রতিপক্ষের তুলনায় মুসলমানদের যোদ্ধাসংখ্যা ও হাতিয়ারের স্বল্পতা ইত্যাদি সত্ত্বেও তাঁদের এমন মহাবিজয়ের কারণ খুঁজতে গেলে একথা সুস্পষ্ট হয় যে, এ মহাবিজয়ের মূল কারণ হচ্ছে হাবিবে খোদার প্রতি সাহাবায়ে কেরামের অকৃত্রিম আনুগত্য ও বিশ্বাস, এমনকি হুজুর পাকের ইঙ্গিতে নিজেদের প্রাণোৎসর্গের জয্বা। সর্বোপরি এ যুদ্ধে আল্লাহর হাবীবের অসাধারণ জ্ঞান, নির্ভুল ইলমে গায়েব (অদৃশ্য জ্ঞান) এবং তাঁর সর্ববিষয়ে একেবারে অব্যর্থ দিক-নির্দেশনার সমুজ্জ্বল প্রমাণ মিলে।
বদর যুদ্ধ সংঘটিত হবার পূর্বে হুজুর (দঃ) যুদ্ধের ময়দান পরিদর্শন করেন। আর তখন তিনি কাফিরদের বড় বড় নেতাদের নিহত হবার ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তৎসঙ্গে মাটিতে নিশান লাগিয়ে বলেছেন এখানে ওমুক কাফির মরবে, এখানে ওমুক কাফির মরবে, ওখানে মরবে অমুক। যুদ্ধ জয়ের পর দেখা গেছে, হুজুরের লাগানো চিহ্নাদি অনুসারে ওইসব কাফিরকে ওখানেই নিহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। হুজুর (দঃ) যুদ্ধের সূচনাকালেই মুসলমানদের এমন মহান বিজয়ের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। বদর যুদ্ধের এসব ঘটনাবলি হুজুর পাক (দঃ) যে অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ বহন করে।