রমজান সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে
মাহে রমজানের রোজা শুধু ব্যক্তির চরিত্রকেই সংশোধন করে না, সমাজকেও সংশোধন করে। রমজানের অন্তর্নিহিত সকল শিক্ষা যদি আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলন ঘটাই তাহলে অবশ্যই সে সমাজ হবে তাক্বওয়াভিত্তিক সমাজ। এজন্যে মাহে রমজানের প্রকৃত কল্যাণ অর্জনে শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে সংশোধিত হলে চলবে না বরং এজন্যে সামাজিক পর্যায়েও পদক্ষেপ নেয়া একান্ত কর্তব্য।
রোজার উদ্দেশ্য হচ্ছে রোজার অন্তর্নিহিত দিকগুলো সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করা, মুমিন বান্দাদের মুত্তাকী বানানো। তাদের মধ্যে যেনো খোদাভীতি জাগ্রত হয়, অন্তরাত্মা যেনো পরিশুদ্ধ হয়।
রিপুর তাড়নাকে অবদমিত করে মাহে রমজান। একজন মানুষ যখন পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন তার পরিবারটি ভালো হয়ে যায়। পরিবার ভালো হলে সমাজ ভালো হবে, সমাজ ভালো হলে দেশ ভালো হবে। সেজন্যে ব্যক্তির চরিত্র সংশোধনের সাথে সাথে পরিবারকেও ওই চরিত্রে চরিত্রবান করতে হবে, পাশাপাশি সমাজকেও পরিবর্তন করে তাক্বওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। এককথায় রমজান যে সব শিক্ষা দেয় যেমন-ষড়রিপুকে দমন করা, অভুক্ত থেকে ভুখা-নাঙ্গা মানুষগুলোর বেদনা অনুধাবন করা, সহমর্মিতা প্রকাশ করা, সৎপথে উপার্জন করা, খোদাভীতি অর্জন করা, কারো উপর জুলুম না করা ইত্যাদি যদি আমরা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি তাহলে সমাজ পরিবর্তন হতে বাধ্য।