শিলন্দিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৩
উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ
চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের মঠখোলা ও শিলন্দিয়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের অতর্কিত হামলায় তিন কিশোর গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায়।
এলাকাবাসী জানান, তারাবীর নামাজ চলাকালীন কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া চালিয়ে এ হামলা করে।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন শিলন্দিয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন খন্দকারের ছেলে ফরহাদ (২১), হানিফ খানের ছেলে রনি খান (২২) ও জহির খানের ছেলে সিয়াম খান (১৯)।
আহত সকলকে এলাকাবাসী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকায় রেফার করেন। এতে মঠখোলা ও শিলন্দিয়া এলাকায় বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার কারণে এলাকায় দুটি মসজিদের তারাবীর নামাজে বিঘœ ঘটেছে বলে জানান এলাকাবাসী।
ঘটনার বিষয়ে আহত সিয়ামের পিতা ব্যবসায়ী জহির খান বলেন, আমার ছেলে ৭/৮ মাস আগে বিদেশ থেকে এসে আমার সাথে ব্যবসা করছে। তারাবীর নামাজের জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হলে আমার ছোট বোন ফোন করে আমাকে জানায়, কে বা কারা আমার ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তায় ফেলে গেছে। এলাকার কয়েকজন ও আত্মীয়-স্বজনসহ ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন ওকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি আরো দুইটা ছেলে আহত অবস্থায় হাসপতালে এসেছে, তাদেরকেও ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
ঘটনার খবর শুনে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এএসআই হানিফের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পাঠায়। হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা না হলেও আহততের অবিভাবকরা জানান, আমরা এখন আমাদের সন্তানদের সুস্থতার জন্য ব্যস্ত আছি, ১৬ এপ্রিল শনিবার এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করবো।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।