মায়ের মিলাদ শেষে প্যান্ডেল খুলতে গিয়ে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু ছেলে হতাহত
হাইমচরে মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া শেষে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছেলে খোরশেদ বরকন্দাজ (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ এপ্রিল শনিবার সকাল ৯টায় আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, নিহত খোরশেদ বরকন্দাজ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা চৌরাস্তা বাজারের পানের ব্যবসায়ী ছিলেন। কিছুদিন আগে তার মায়ের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ওই বাড়ির বেশ ক’জন কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। আর তাই মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনায় ও ডায়রিয়া থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বাড়ির সবাই মিলে ইমামদের দিয়ে কোরআন খতম ও মিলাদের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে বাড়ির উঠানে প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়।
পরে দোয়া শেষে প্যান্ডেলের কাপড়ের খুলতে গিয়ে চেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে যান খোরশেদ। এ সময় পাশে থাকা স্ট্যান্ড ফ্যান তার গায়ের ওপর পড়ে। ফ্যানের তার লিকেজ থাকায় বিদ্যুৎস্পষ্ট হন তিনি। তাকে উদ্ধার করতে তার বড় ভাই কুদ্দুস বরকন্দাজ এগিয়ে এলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে দুজনকে আহত অবস্থায় হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক খোরশেদকে মৃত ঘোষণা করেন। আর কুদ্দুসকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।
খোরশেদ বরকন্দাজের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বাড়ি থেকে দোকানের দূরত্ব বেশি হওয়ায় তিনি দোকানেই থাকতেন। সপ্তাহে দু-একদিন তিনি বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।
নিহত খোরশেদ বরকন্দাজের স্ত্রী তানজিনা বেগম জানান, আমার স্বামী মায়ের কবর জিয়ারত ও দোয়ার জন্যে বাড়িতে এসেছিলেন। এ ছাড়া পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এখন আমি নিরূপায় হয়ে গেলাম। আমার সন্তানদের কে দেখাশোনা করবে?
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইমচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই।