• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা

প্রকাশ:  ৩০ মার্চ ২০২২, ১১:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ মার্চ সকালে চাঁদপুর মডেল থানা সংলগ্ন সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি মোঃ সেকান্দর আলী মিয়াজীর সভাপ্রধানে সভায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও প্রয়াত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সমিতির মোঃ আজিজুল হক এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন সমিতির সদস্য কেশব চন্দ্র মজুমদার।
সভায় সমিতির সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম মজুমদার ৪ পৃষ্ঠা-সম্বলিত ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৪ হাজার ৩শ’ ৮৩ টাকা স্থিতি রেখে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ১শ’ ১৪ টাকার আয়-ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন। উপস্থিত সদস্যগণ কণ্ঠভোটে উত্থাপিত প্রতিবেদনের অনুমোদন প্রদান করেন।
সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সভাপ্রধানের বক্তব্যে সভাপতি মোঃ সেকান্দর আলী মিয়াজী সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের দেয়া দায়িত্ব পালনে আমি সকলকে নিয়ে সমিতির উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কতটুকু করতে পেরেছি তার বিবেচনার ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। আপনারা যদি মনে করেন, আমার এ স্থানে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে আরো বেশি কল্যাণকর কাজ হবে, তাহলে আমি স্বেচ্ছায় এ পদ ছেড়ে দিবো। বর্তমানে আমার বয়স ৯১ বছর। এ বয়সেও আমি ৮টি কমিটির সভাপতি পদসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। ঠিকমতো সকল প্রতিষ্ঠানকে সময় দিতে পারি না। এমনকি আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও আমি দেখে উঠতে পারি না। কিন্তু যখনই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কোনো সভা বা কার্যক্রমে আমার প্রয়োজন পড়ে তখন যতো ব্যস্ততাই থাকুক না কেনো এখানে না এসে থাকতে পারি না। এ সংগঠনটি আমার কর্মজীবনকে স্মরণ করে দেয়। আমরা অনেকেই চাকুরি থেকে অবসর নেয়ার পর জৌলুস হারিয়ে ফেলি। এ সময় নিজেকে অনেকেই বেকার ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু আমি মনে করি তা ঠিক নয়। আমি মনে করি, চাকুরিজীবন শেষে আমরা দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বের হই। আমাদেরকে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। ভালো মানসিকতা নিয়ে সমাজের কল্যাণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যোগ্য মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যাতে মানুষ বুঝতে পারে, আমি কর্মজীবনেও সফল আর অবসরজীবনেও সফল।
তিনি অবসরপ্রাপ্ত সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সমিতিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান এবং নিজেদেরকে সমিতির সকল সদস্যের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার জন্যে অনুরোধ করেন।
সমিতির উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে মতামত প্রকাশপূর্বক বক্তব্য রাখেন সমিতির উপদেষ্টা বলরাম চন্দ্র দেবনাথ, মোঃ আবুল হেসেন, সহ-সভাপতি মোঃ হারুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শরীফ হোসেন, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ মোঃ মফিজুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য আঃ মান্নান, শরীফ মোঃ আলফু মিয়া, রহিমা বেগম, মোঃ শাহজাহান বাবুল, মোঃ ফিরোজউল্লা, মোহাম্মদ হোসাইন, রেজা মাহবুব আলফু, আব্দুর রহমান, আজিজুল হক, আঃ মান্নান প্রমুখ।