• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে তিন উপজেলাবাসীর চলাচল

প্রকাশ:  ৩০ মার্চ ২০২২, ১১:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়া, হাজীগঞ্জ ও মতলব উপজেলার অধিক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল রঘুনাথপুর বোয়ালজুড়ি খালের উপর নির্মিত পুরানো ব্রিজ। প্রায় শতবছর পূর্বে নির্মিত এ ব্রিজ দিয়ে তিন উপজেলার ২০ গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ও এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে আসছে। গত ক’বছর পূর্বে ব্রিজটি ভেঙ্গে জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে তিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কর্তৃপক্ষই ব্রিজটি নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। গতকাল ২৯ মার্চ মঙ্গলবার উক্ত সংযোগ ব্রিজটি নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ অংশগ্রহণকারী স্থানীয়রা জানান, বোয়ালজুড়ি খালের উপর প্রায় শত বছরের পুরাতন ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাশর্^বর্তী তারাপাল্লা, মাড়কি, আয়মা, শাসনখোলা, মুরাদপুর, পিরোজপুর, কাদলা, তেঘুরিয়াসহ আশপাশের অন্তত বিশটি গ্রামের মানুষ ও ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে আসছে।  রঘুনাথপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্ভ, ২শ’ বছরের পুরানো রঘুনাথপুর বাজার ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতকারীদের একমাত্র ভরসা এ ব্রিজটি। প্রায় ৮৫ ফুট দীর্ঘ ও প্রায় ৬০ ফুট উঁচু ব্রিজের দুপাশের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়রা কাঠ দিয়ে মেরামত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছে। ব্রিজের দুপাশে রেলিং না থাকায় প্রায়শই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার পতিত হচ্ছে। ব্রিজটি অনেক উঁচু হওয়ায় বয়ষ্ক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্রিজে উঠানামায় প্রায়শ দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। যাতায়াতের সুবিধার্থে এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে কচুয়া, হাজীগঞ্জ ও মতলব উপজেলার মানুষ নিয়মিত চলাচল করে আসছে। অচিরেই ব্রিজ নির্মাণ করে তিন উপজেলার সংযোগ ও এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সমস্যা লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোতাছেম বিল্যাহ জানান, ব্রিজটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেছি।