• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

স্বাধীনতা দিবসে জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে দুই ধরনের পতাকা ॥ বিতর্কের ঝড়

প্রকাশ:  ২৮ মার্চ ২০২২, ১২:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে এবার দু ধরনের পতাকা উড়েছে। যা বিগতদিনে কখনো দেখা যায় নি। সকালে জেলা প্রশাসক যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কের ঝড় বয়ে গেছে। কেউ বলেছেন এটা জাতীয় পতাকাকে বিবর্তন করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই কেউ পারেন না। আবার কেউ বলছেন এটা সৌন্দর্য বর্ধনে করা যায়, কোনো সমস্যা নেই। তবে জেলা প্রশাসক এই পতাকার বিষয়ে দায়িত্ব নিতে রাজি নন। এ বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ‘এই পতাকা আমার না এবং পতাকা স্ট্যান্ডে লাগানোর দায়িত্বও আমার না। পতাকা কার বা কে টানিয়েছে সেটা আপনারা খোঁজ নেন।’
২৬ মার্চ সকাল ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর এ পতাকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পতাকাটি ছিলো তিনদিকে কারুকাজ করা লেস-এর বর্ডার দেয়া। কিন্তু দুপুরের পর স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে জেলা প্রশাসক যে পতাকা উত্তোলন করেছেন সেটা আর পতাকা স্ট্যান্ডে নেই, সেটির জায়গায় অন্য জাতীয় পতাকা উড়ছে। যা সব সময় উড়তে দেখা যায়। আর এটি যে অনুষ্ঠানের পতাকা নয় সেটি আকারেই বুঝা যায়।
এদিকে সকালে যে পতাকাটি জেলা প্রশাসক উত্তোলন করেছেন সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কমেন্ট করতে থাকে বিভিন্নজনে।
এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের কাছে জানতে চান। তিনি তখন প্রেসক্লাব সভাপতিকে বলেন, এই পতাকা আমার না এবং পতাকা লাগানোর দায়িত্বও আমার না। ‘তাহলে পতাকাটা কার বা কে এটি লাগিয়েছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, সেটা আপনারা খোঁজ নেন। দুপুরের পর স্টেডিয়ামে গিয়ে তো দেখা গেলো সকালের পতাকা নেই। জাতীয় পতাকা অন্যটা উড়ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সেটা আমি বলতে পারবো না। বিকেলে আমি স্টেডিয়ামে যাই নি।
এ বিষয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পতাকাটা পুলিশের কুচকাওয়াজের পতাকা। সদর এসি-ল্যান্ড পতাকাটা চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। এরপর আর পতাকার বিষয়ে আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই।
এ বিষয়ে সচেতন জনগণের বক্তব্য হচ্ছে, অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসনের। তাই এর দায়িত্ব জেলা প্রশাসক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাই।