মতলবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত বঙ্গবন্ধুকে
জানলেই জানা হবে বাংলাদেশকে: অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপি
মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ, শিশু-কিশোরদের শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা।
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসানের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ রুহুল আমিন, অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মাদ শাহাজাহান কামাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মিয়া জাহাঙ্গীর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই সেই ব্যক্তিকে, যাঁর আহ্বানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের মুক্তিকামী জনতা। সেই শ্রেষ্ঠতম বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি আমাদের জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়ে গিয়েছেন। এই স্বাধীনতা তখনই অর্থবহ হয়ে উঠবে, যখন আমরা দেশের সবাই মিলে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো এবং নিজ অবস্থানে থেকে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে অবিচল থাকবো।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, একটি জাতি, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা, আমাদের স্বাধীনতা। কারণ বঙ্গবন্ধু না থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না, আর দেশ স্বাধীন না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকরা হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে জানলেই জানা হবে বাংলাদেশকে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।