মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বঙ্গবন্ধুকে যে আমরা ভালোবাসি সেটা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে : জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুই আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। স্বাধীনতার পরে দেশ গঠনে কাজ করেছেন। খুব কম সময়ে জাতিকে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছেন বিশে^র দরবারে। এই দেশ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন না করলে এখনো আমরা পরাধীন হয়ে পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতাম।
তিনি ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জেলা প্রশাসন চাঁদপুর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার), চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, জেলা প্রশাসকের স্বামী ও ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কাশেম মোঃ জহুরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রমুখ।
সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবুর পরিচালনায় স্বাধীনতা দিবসের এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের সংবিধান দিয়েছেন, অর্থনীতিকে একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তারপর কুচক্রী মহলের হাতে তিনি নিহত হন। দেশের ইতিহাস অন্যভাবে প্রবাহিত হতে থাকে। তারপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দিনবদলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সবাইকে স্বপ্ন দেখান। এরপর ২০০৮ থেকে ২০২২। আমরা কোথায় ছিলাম আর এখন কোথায় আছি। সবাই স্বীকার করবেন আমাদের সবার জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আজকে দেশে রেমিটেন্স বেড়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের পদ্মা সেতু হয়েছে, জুন মাসে সেটি চালু হবে। মেট্রোরেল হচ্ছে, আমরা মেট্রোরেলে যাতায়াত করবো। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের কাছে অকল্পনীয় ছিলো। আর এখন সারাবিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয়। এটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পার হয়ে এসেছি। ৫১তম বছরে অবস্থান করছি। পঞ্চাশ বছর স্বাধীন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমাদের সামনে চলার যেমন ভিশন আছে, আমরা জানি আমাদের কীভাবে আগাতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই রূপরেখা দিয়েছেন। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবো। সেই লক্ষ্যে প্ল্যান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি মানুষের জন্যে চিন্তা করেন এবং ভাবেন, পরিকল্পনা করেন। আমাদের দায়িত্ব হলো যার যে কাজ সেটা যেনো ভালোভাবে করি। আমরা যে সেবা দেয়ার জন্যে এসেছি, সেই সেবা যেনো দিতে পারি। তাহলে দেশকে ভালোবাসা হবে, বঙ্গবন্ধুর চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় সেটা আমরা করতে পারবো।
জেলা প্রশাসক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে আমরা ভালোবাসি সেটা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার দায়িত্ব হলো সরকারি খাস জমি, খাল-বিল নদী-নালা রক্ষা করা। আমি যদি সেটা না করি তাহলে সরকারের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলাম না। স্বাধীনতা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক দেশকে ভালোবাসা, আমাদের কাজগুলো যথাযথভাবে করা।
আলোচনা শেষে স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
পরে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।