• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নদীরক্ষা কমিশনে সভা

চাঁদপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ:  ২৩ মার্চ ২০২২, ১০:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের নদী থেকে গত একযুগে কী পরিমাণ বালু উত্তোলন করা হয়েছে এবং এর ফলে কী ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে তথ্য জানাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন। গত সোমবার সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য ও পরামর্শ গ্রহণের পর জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এ নির্দেশ দেন। সভায় চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীর একাংশ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
অবৈধ বালু ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নৌযানগুলো জব্দ করার নির্দেশও দেন ড. মঞ্জুর আহমেদ। সেই সঙ্গে তিনি আইনি ব্যবস্থা হিসেবে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনাও দেন। সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ^বিদ্যলয়ের এক শিক্ষক ও মৎস্য গবেষণাকেন্দ্রের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই মতামত দেন, অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে সব সংস্থা সমন্বয় করে কাজ করবে, যাতে নদী ও এর নাব্যতা রক্ষা পায়। জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষা পায়। ইলিশের প্রজননক্ষমতা নষ্ট না হয়। এজন্যে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার আইনে যা আছে তা প্রয়োগ করবে তারা। এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে যে মামলা-মোকদ্দমা আছে তা নিষ্পত্তির জন্যে কাজ করবে।
সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান চাঁদপুরের নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে কী পরিমাণ বালু উত্তোলন করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন; কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ তার তথ্য জানাতে পারেনি। তবে তারা কী পরিমাণ বালু আছে, তা উপস্থাপন করেন। বিষয়টি নিয়ে নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের লিখিতভাবে এই তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া অপরিকিল্পত বালু উত্তোলন করায় অনেক মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেসব মামলা রিভিউ ও আপিলে গিয়ে খারিজ হয়ে গেছে, তার পেছনে বিআইডব্লিউটিএর গাফিলতি ছিলো বলে নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসব মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তারা আরও বলেন, সভায় অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নদীরক্ষা কমিশন। সভায় অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর কাছে প্রকৃত চিত্র যেটা তা জানতে চেয়েছে। সেখানে কী কারণে বালু তোলা হচ্ছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। এছাড়া মৎস্য গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাও তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, চাঁদপুরে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সবার মতামত হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা বন্ধ করা উচিত। এ বিষয়ে নদীরক্ষা কমিশন থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সভায় উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, সভার রেজুলেশন প্রকাশ হলে জানা যাবে কোন্ সংস্থার প্রতি কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। সূত্র : আমাদের সময়।