চাঁসকে জাতির পিতার ১০২তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন
শিশুদের মধ্যে তিনি সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন :অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ
১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার মেঘনাপাড়ের বাতিঘর বলে খ্যাত চাঁদপুর সরকারি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিবসটির কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৭টা এক মিনিটে কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর স্মারক-স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ। সকাল ১০টায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক ও আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়। জাতির পিতার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১১টায় আন্তঃবিভাগ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন চঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং হিসাববিজ্ঞান বিাভাগ উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ১১টায় উদ্বোধন করা হয় শেখ রাসেল দেয়ালিকা।
বেলা ১২টায় কলেজ অডিটরিয়ামে শুরু হয় ‘বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও সম্মোহনী নেতৃত্বের বিশালতা ও ব্যাপকতা : একটি দৃষ্টিপাত’ শীর্ষক সেমিনার। পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৭ মার্চ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সভাপ্রধানে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামানের সঞ্চালনায় ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল-আমিন এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মেহেদী আরিফ এবং উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল বাশার এবং বিশেষ অতিথি কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার। আলোচকগণ উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোকপাত করেন এবং গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদকে, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীরসেনানীকে। উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার বঙ্গবন্ধুসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ তাঁর বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের, গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর সেনানীকে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন একজন মানুষ। বঙ্গবন্ধু আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছেন। তাঁর ক্যারিশম্যাটিক লিডারশীপের কারণে সাত কোটি বাঙালি একত্রিত হয়েছিল। তাঁর হৃদয়ের বিশালতা ছিল ব্যাপক, শিশুদের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ছিল। শিশুদের মধ্যে তিনি সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
সেমিনার শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বেলা ১টায় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকারকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। বাদ জোহর কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদ ও হোস্টেল মসজিদ মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে তাৎপর্যপূর্ণ দিবসটির।