• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর-ঢাকা নৌরূটে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ

প্রকাশ:  ২১ মার্চ ২০২২, ১১:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ১৮ মার্চ শুক্রবার পবিত্র শবেবরাত এবং ১৯ মার্চ শনিবার সরকারি ছুটির দিন। টানা তিনদিনের ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থল থেকে বাড়ি এসেছিলো। তাদেরই আবার কর্মস্থলে ফেরা। এ কারণে এর প্রভাব পড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চসহ বিভিন্ন গণপরিবহনে। শনিবার ও রোববার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেশ ক’টি লঞ্চ চলাচল করেছে চাঁদপুর-ঢাকা নৌরূটে। ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা হয় চাঁদপুর লঞ্চঘাট সংশ্লিষ্টদের।
ধারণ ক্ষমতার তিন গুণ যাত্রী বহন করে ইমাম হাসান ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় লঞ্চ চালকের ওপর চড়াও হয় যাত্রীরা। পরে লঞ্চটি ঘাটে পুনরায় ফেরত আসে। এ পরিস্থিতিতে লঞ্চের মাস্টার, সুকানি ও করণিককে যাত্রীদের রোষানল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ। ১৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বে থাকা একাধিক লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি জানান, রাত্রিকালীন যাত্রী নেয়ার অনুমতি রয়েছে ৩৪৫ জন। কিন্তু লঞ্চটিতে প্রায় ১৬০০ যাত্রী উঠে। লঞ্চটি ঘাট থেকে ছেড়ে কিছুদূর গেলে যাত্রীদের মধ্যে ডুবে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের ছোটাছুটিতে লঞ্চটির পেছন দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক মাস্টার পুনরায় লঞ্চটি ঘাটে নিয়ে আসেন। দুর্ঘটনা কবলিত ওই লঞ্চের যাত্রীদেরকে সিডিউলে থাকা এমভি ঈগল ও মিতালী লঞ্চে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর লঞ্চঘাটে কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) রেজাউল করিম সুমন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে আমরা লঞ্চটিকে যেতে দেইনি। ওই লঞ্চের যাত্রীদের পরে লাইনের অন্য লঞ্চের সাহায্যে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০ মার্চ রোববার সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকলেও সকাল ১১টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সর্বাধিক পঠিত