হাইমচরে সংঘর্ষে আহত ১০
হাইমচর উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টায় গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী। এ সময় চাল নেয়ার জন্যে অটোবাইক নিয়ে আসেন জেলে আহসান গাজী। অটোবাইক চালক হাসেম সরদার অটোবাইকটি পরিষদের সামনে রাখায় আরেক অটোবাইক ড্রাইভারের সাথে কথা কাটাকাটি হলে চেয়ারম্যানের ছেলে আবু তাহের গাজী ড্রাইভারকে মারধর করে। ড্রাইভারের সাথে থাকা সোহেল মাঝি তখন প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের ছেলেরাসহ পরিষদের লোকজন সোহেলকে মারধর করে। সোহেল মাঝির পরিবারের লোকজন এ খবর পেয়ে পরিষদে আসলে চেয়ারম্যান হাবু গাজীসহ তার ছেলেরা তাদের উপর হামলা করলে উভয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজীর ৪ ছেলেসহ ১০ জন আহত হন। আহতরা সবাই হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। সোহেল মাঝির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে হাইমচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অটোবাইক ড্রাইভার হাসেম সরদার জানান, পরিষদের সামনে অটোবাইক রাখলে আরেক অটোবাইক ড্রাইভার আমার সাথে কথা কাটাকাটি করলে চেয়ারম্যানের ছেলে আমাকে মারধর করে। আমার সাথে থাকা সোহেল মাঝি প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের ছেলেরা তাকে ভেতরে নিয়ে নির্যাতন করে। পরে সোহেলের পরিবার ঘটনাটি জানতে পেরে পরিষদে আসার সাথে সাথে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজীসহ তার ছেলেরা আমাদের উপর হামলা চালায়।
ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজী এ বিষয়ে বলেন, চাল দেয়া অবস্থায় পরিষদে এসে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। আমি এসে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।
এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রশিদ জানান, গাজীপুর ইউনিয়নে চাল দেয়ার সময় সংঘর্ষের সংবাদ পেয়েছি। ওই সময় আমি নদীতে অভিযানে ছিলাম।
হাইমচর থানার এএসআই প্রাণকৃষ্ণ জানান, ১নং গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অটোবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি বড় আকারে রূপ নিয়েছে।