চাঁদপুর সদর উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভা
সফরমালী বাজার ও বাগাদী চৌরাস্তায় অবৈধ দোকান নিয়ে আলোচনা
চাঁদপুর সদর উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। ১৪ মার্চ সোমবার চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘ইজারাবিহীন বাজারের টোল আদায় করছে ব্যক্তির নামে, সওজের জায়গা দখল করে বহু দোকান’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে এ সভায় আলোচনা হয়। তবে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি। বরাবরের মতো সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান এ বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নি। প্রশাসন এবারো নীরব। প্রকাশিত সংবাদটিতে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে অবস্থিত সফরমালী বাজার যে ইজারা হচ্ছে না এবং ইজারাবিহীন বাজার থেকে যে ব্যক্তির নামে টোল আদায় করা হচ্ছে, আর এটি যে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। একই সংবাদে বাগাদী চৌরাস্তায় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে অনেকগুলো দোকান তুলে অবৈধভাবে ভাড়া নিচ্ছেন জনৈক ব্যক্তি, সে বিষয়ও তুলে ধরা হয়। আর এসব বিষয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভা এবং সদর উপজেলা সমন্বয় সভায় একাধিকবার বললেও প্রশাসন থেকে যে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে নাজিম দেওয়ানের ক্ষোভের কথাও ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল সোমবার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান। চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত নিউজের বিষয়ে সভায় আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি। এমনকি এর আগের সভায় বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল বাগাদী চৌরাস্তায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে জোরালো বক্তৃতা করেন। এটি রেজুলেশনে উল্লেখ করা হলেও সে রেজুলেশন গতকালকের সভায় পাঠ করা হয়, কিন্তু কার্যকর করার বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। এসব কারণে সভার প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, সভার সিদ্ধান্ত যদি কার্যকর না হয়, তাহলে তো এই সভার কোনো মূল্য থাকে না। তিনি প্রশাসনকে পুনরায় অনুরোধ করে বলেন, সফরমালী বাজার থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে টোল আদায় যদি বন্ধ করা না হয়, তাহলে আসছে ঈদুল আজহায় ইজারাবিহীন কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। তখন এর দায় দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।
সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানগণ, সদর এসি-ল্যান্ড, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং সকল ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।