• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রাতের আঁধারে খাল দখল করে দোকান নির্মাণ

প্রকাশ:  ১৫ মার্চ ২০২২, ১০:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রাচীন বাজার বাবুরহাট বাজার। যেটি চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। চাঁদপুর জেলার যতগুলো বাজার রয়েছে, তন্মধ্যে একমাত্র বাবুরহাট বাজারটিতেই উক্ত বাজারের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাজারের ব্যবসায়ীদের প্রত্যক্ষ ভোটে   নিয়মিত বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। যারা বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজারের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করেন। অথচ এই রক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ক’জনই এখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন-এমন অভিযোগ স্বয়ং বাজারের ব্যবসায়ীদের।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী বংশের লোকজন, স্থানীয় একটি রাজনৈতিক সিন্ডিকেট ও সরকারের সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কিছু অসাধু সরকারি কর্মচারী মিলে বাজারের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের প্রবাহ বন্ধ করে এবং সরকারি সম্পত্তিতে একের পর এক অবৈধভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন। এমন অভিযোগ বাজারে অনেক রয়েছে। শুক্র ও শনিবার একই পন্থা অবলম্বন করে ঐ সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে বাজারের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাবুরহাট এলাকার ভূমিদস্যুরা একের পর এক সরকারি সম্পত্তি দখলসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। গুটিকয়েক অসাধু সরকারি কর্মচারীদের সহযোগিতায় একের পর এক দখল হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। বাবুরহাট মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজের উত্তর পাশে খালের মধ্যখানে চাঁদপুর-বাবুরহাট-মতলব প্রবহমান খালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দোকান নির্মাণ করছে একটি মহল। জানা যায়, প্রশাসন থেকে কোনো রকমের অনুমতি না নিয়েই রাজনৈতিক নেতা ও জেলা পরিষদের নাম ভাঙিয়ে দোকান নির্মাণ চলছে। কাওসার মাল ও হাসান মাল এ চক্রের মূল হোতা। এরা দুজনই বাবুরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বলে জানা যায়।
চাঁদপুরের ডাকাতিয়া ও মতলবে ধনাগোদা নদীর সাথে সংযুক্ত এ খালটি চাঁদপুর পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম। রাতের আঁধারে এভাবে সরকারি সম্পত্তিতে দোকান নির্মাণে প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
জানা যায়, বাবুরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোঃ হাসান মাল প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও জেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুনরায় সেই স্থানে পাকা দোকান নির্মাণ করছেন।
কাউসার মাল বিভিন্ন সময় বাবুরহাট বাজারে সরকারি সম্পত্তি দখল করে দোকান নির্মাণ করছেন বলে বেশ কটি অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতন কয়েকজন বলেন, এভাবে সরকারি সম্পত্তি একের পর এক দখল হতে থাকলে বাবুরহাট এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির সৃষ্টি হতে পারে।
বাবুরহাট এলাকায় নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনাসহ সকল অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাজারের সচেতন ব্যবসায়ী মহল।