• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হত্যা মামলায় ফরিদগঞ্জের ৩ জনের যাবজ্জীবন

আসামীদের সর্বোচ্চ শান্তির জন্যে বাদিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবেন

প্রকাশ:  ০৫ মার্চ ২০২২, ১৩:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সাহাপুর গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে আব্দুল হান্নান (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে মোঃ এমরান হোসেন (২৭), আব্দুল মমিন (৩২) ও বুলু বেগম (৪৫)কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
গত ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান এই রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত এমরান হোসেন পূর্ব সাহাপুর গ্রামের মোঃ আবু শেখের ছেলে, আব্দুল মমিন মোঃ সিরাজুল হকের ছেলে এবং বুলু বেগম আবু শেখের স্ত্রী।

মামলার বাদি নিহত হান্নান শেখের স্ত্রী শামছুন্নাহার জানান, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্যে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। কারণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ইমাম হোসেন রিমান্ডে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তিনি আমার স্বামীকে খুন করেছে। সেখানে এজাহারভুক্ত আসামীকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত ছিলো।

জানাগেছে, নিহত হান্নান শেখ তিন ছেলের জনক। বড় ছেলে আব্দুল আজিজ সুজন জানান, আমার বাবার হত্যাকারীদের আমরা ফাঁসি চাই। আর তাহলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে হত্যার শিকার হান্নানের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত এবং রক্তাক্ত জখম হন হান্নান ও তার স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম (৩৭)। হান্নানকে ঘটনাস্থল থেকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।

এই ঘটনায় হান্নানের স্ত্রী শামছুন্নাহার ওই দিনই ফরিদগঞ্জ থানায় কারাদন্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ওই বছর ২৯ নভেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহামেদ অভি জানান, মামলাটি দীর্ঘ ৬ বছরেরও অধিক সময় আদালতে চলমান অবস্থায় ১৩জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। তবে মামলার রায়ের সময় ৩ আসামী পলাতক ছিলেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোঃ হান্নান কাজী ও সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

 

সর্বাধিক পঠিত