চাঁদপুরে ৭, ১৭, ২৫ ও ২৬ মার্চ উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
মার্চ আমাদের অনেক স্মৃতি বহন করে: জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
তিনি বলেন, এ মাসটি আমাদের অনেক স্মৃতি বহন করে। আমরা যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, তা সকলে যথাযথ মর্যাদায় পালন করবো।
জেলা প্রশাসক বলেন, সকলে মিলেই মার্চ মাসের অনুষ্ঠানগুলো করতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করবো যেন এ অনুষ্ঠানগুলো পালন করে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের আলোচনা সভাগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের অতিথি হিসেবে আনবেন। কারণ, আমাদের সন্তানদের জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপট। তাহলে আমাদের সন্তানরা বুঝতে পারবে কী কষ্টের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা চাই যথাযোগ্য মর্যাদায় সকলে মিলে এ প্রোগ্রামগুলো উদ্যাপন করবো। মনে রাখতে হবে এ প্রোগ্রামগুলো কারো একার নয়।
জেলা প্রশাসক ৭, ১৭ এবং ২৬ মার্চের প্রোগ্রামসূচির নির্দেশনা দিয়ে আরো বলেন, জাতীয় পতাকাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং জাতীয় পতাকার যেনো কোনরূপ অবমাননা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মাস্ক পরিহিত অবস্থায় সংগঠন প্রতি ৫জন আসতে হবে। ২৫ মার্চ রাতে ৯টা ১ মিনিট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হবে।
১৭ মার্চ জাতির পিতাকে সম্মান জানানোর জন্যে সেদিন জন্ম নেয়া একটি শিশুকে উপহার প্রদান করা হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নির্বাহী সদস্য শহীদ পাটোয়ারী প্রমুখ। এ সময় সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।