• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চরভৈরবী ওহাবীয়া এতিমখানার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

প্রকাশ:  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসহায়, হতদরিদ্র ও এতিমদের আশ্রয়স্থল 'চরভৈরবী ওহাবীয়া এতিমখানা'র বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। মূল তথ্য গোপন করে মনগড়া মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য সাজিয়ে এতিমদের আশ্রয়স্থলে থাবা বসিয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী।
এতিমখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, আমাদের এতিমখানায় এতিম, হতদরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী, ম্যানেজার, শিক্ষক, বাবুর্চিসহ অর্ধশতাধিক জনবল রয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও সরকারি বিভিন্ন অনুদানে এতিমখানাটি সচল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও নিজেদের প্রচেষ্টায় এতিমদের আশ্রয়স্থলটি আমরা টিকিয়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী প্রতি বছরই কয়েকবার হানা দেয় এতিমদের এ আশ্রয়স্থলে। বিভিন্ন বিষয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। এবছরও একই নিয়মে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরভৈরবী ওহাবীয়া এতিমখানার হাজিরা খাতা অনুযায়ী ৭০ জন এতিম, হতদরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীর তালিকা রয়েছে। করোনা মহামারিতে ১৫ জন ছুটিতে রয়েছে। ৫-৭ জন পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাই কাজসহ বিভিন্ন দক্ষতা অর্জনে ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছে। এতিমখানায় ম্যানেজার শিক্ষক ও স্টাফসহ নিয়মিত ৫০ জনের উপস্থিতি রয়েছে।
এতিমখানার ম্যানেজার মোঃ আবু তাহের জানান, দৈনিক ৩ বেলা খাবার, পোশাক পরিচ্ছদ ও আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রতিজন এতিমের যে পরিমাণ খরচ হয় সরকারি অনুদানে তা পূরণ করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়ে এতিমখানা চালাতে প্রতিমাসেই হিমশিম খেতে হয় আমাদের। এর মধ্যেই মূল তথ্য গোপন করে কিছু স্বার্থান্বেষী এতিমখানাটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।
এতিমখানার শিক্ষক মাওলানা কামরুল হাসান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই এতিমখানার হতদরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীরা ছুটি নিয়ে বাড়িতে আছে কিছুদিনের জন্য। ছুটি শেষে কেউ আসে আবার কেউ যায়। তবে নিয়মিত ৪০-৪৫ জন এতিম, হতদরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী এখানে থাকে, খাওয়া-দাওয়া করে। এদের যাবতীয় খরচ এই এতিমখানা থেকেই সরবরাহ করা হয়।

সর্বাধিক পঠিত