পুরাণবাজার রাধা মুরারী মোহন জিউড় মন্দিরে নিত্যানন্দ ত্রয়োদশী উদ্যাপন
শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ ত্রয়োদশী উপলক্ষে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর ব্যাপক আনন্দ উৎসাহের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার শ্রী শ্রী রাধা মুরারী মোহন জিউড় মন্দিরে মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় ভক্তদের ব্যাপক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় মহানাম কীর্তন, গঙ্গা আবাহন ও অধিবাস কীর্তন। রাত সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় প্রসাদ (অনুকল্প) বিতরণ। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১২টায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তদের শঙ্খ উলুধ্বনি আর হরিনাম কীর্তনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ প্রভুর শুভ অভিষেক অনুষ্ঠান। বিকেল ৫টা থেকে ক্রমান্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় গৌর আরতি, তুলশী আরতি, সন্ধ্যা আরতি ও শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ এবং প্রসাদ বিতরণ। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন মন্দিরের অধ্যক্ষ সদানন্দ দাস বাবাজী। এদিন ভক্তগণ নিজেদের সুখ-শান্তি আর দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় ঈশ^র সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস ব্রত পালন করেন। অনুষ্ঠানে মন্দির কর্তৃপক্ষের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী রাধা মুরারী মোহন জিউড় মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট ধর্মানুরাগী সমর চন্দ্র সাহা, উপদেষ্টা প্রধান শিক্ষক প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ, সভাপতি রোঃ রিপন সাহা, সহ-সভাপতি রুমা পাল, সাধারণ সম্পাদক সহদেব বর্মন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসীম ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ সুমন দেবনাথসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সকল উৎসব পালন করে আসছে। নব-নির্মিত মন্দিরটিতে প্রয়োজনীয় নাট মন্দির না থাকায় উৎসব চলাকালে আগত ভক্তদের রোদে দাঁড়িয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট স্বীকার করে তাদের ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন করতে হয়। এ ব্যাপারে মন্দিরের সভাপতি রোঃ রিপন সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সহদেব বর্মন জানান, ভক্তদের ব্যাপক সহায়তায় আমরা মন্দির নির্মাণে সক্ষম হলেও প্রয়োজনীয় অর্থিক দুরবস্থার কারণে আমরা এখনো মন্দিরের নাট মন্দির নির্মাণসহ মন্দিরের আরো উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপক ভক্তবৃন্দ মন্দির দর্শনে ছুটে আসেন। তারা পূজা অর্চনা, ভোগরাগসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু একটি নাট মন্দির না থাকায় আগত ভক্তদের ব্যাপক অসুবিধার মধ্য দিয়ে ধর্মীয় উৎসবাদি সম্পন্ন করতে হয়। আমরা চেষ্টায় আছি নাট মন্দির নির্মাণসহ মন্দিরের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে। যদি কোনো মহৎ হৃদয়বান ব্যক্তি সহায্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে মন্দিরের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা আমাদের জন্য সহজ হতো। তারা প্রশাসন, সহৃদয়বান ব্যক্তিদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।