• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী

ফেডারেশনের মানববন্ধন

প্রকাশ:  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে চাঁদপুরে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন  মানববন্ধন করেছে। গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা  প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রধান করেন।
সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ মাসুদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সদস্য  মোঃ আনোয়ার উল্লাহর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম হাওলাদার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মৃধা, হাজীগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ভূঁইয়া, জেলা কমিটির সদস্য মাহবুবুর হোসাইন শাওন, মোঃ মোতাহার হোসেন খান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বাধীনতার শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের ৮ দফা দাবি পাঠকদের জন্য নি¤েœ তুলে ধরা হলো : ১. ঐতিহাসিক মুজিববর্ষেই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সার্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।
 ২. আসন্ন ঈদের পূর্বেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান এবং সরকারি অনুরূপ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানের জন্য আসন্ন বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা।
 ৩. সরকারি সকল শর্তপূরণ করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি (স্বতন্ত্র এবতেদায়ী, অনার্স-মাস্টার্সসহ) প্রতিষ্ঠানকে অতি দ্রুত এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করা।
 ৪.  শিক্ষা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাউশিসহ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের পদায়ন করা।
 ৫. করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা/বিশেষ বৃত্তি/অনুদান প্রদান, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডিভাইস, খাতা কলমসহ অন্য শিক্ষা সামগ্রী প্রদান এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের (স্কুল-মাদ্রাসা, ভোকেশনাল) স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে দুপুরে সরকারি উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করা।
৬. শূন্যপদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা কার্যকর করা।
৭. অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শেষ আশ্রয়স্থল শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা।
৮. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সৎ, এবং যোগ্য ও শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা। স্কুল পর্যায়ে ন্যূনতম ডিগ্রি পাস ও কলেজ পর্যায়ে ন্যূনতম মাস্টার্স পাস স্বচ্ছ ব্যক্তিত্বসম্পন্নদের নিয়োগ দান করা।

 

সর্বাধিক পঠিত