হাইমচরে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর পাশে রেদওয়ান খান বোরহান
চাঁদপুরের সদর উপজেলার চান্দ্রা চৌরাস্তা নূরানী বিভাগের ছাত্র মুজাহিদ হোসেন (৯) গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাস্তা পারাপারের সময় সিএনজি অটোরিকশা চাপায় গুরুতর আহত হন। দিনমজুর বাবার পক্ষে ছেলের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। গত ১৫ দিন যাবৎ শিশু মুজাহিদ হোসেন বিনা চিকিৎসায় প্রচ- ব্যথা নিয়ে চিৎকার করতে থাকে। অবুঝ সন্তানের অসহ্য ব্যথা আর কষ্ট সইতে না পেরে মুজাহিদের বাবা মোঃ রবিউল গাজী সাংবাদিক ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।
গত সপ্তাহে মুজাহিদকে কুমিল্লা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পাশে দাঁড়ান আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহান। তিনি মুজাহিদের চিকিৎসা চালাতে সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি নগদ ৫ হাজার টাকা পৌঁছে দেন এবং তার চিকিৎসার সকল দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মুজাহিদের বাবা মোঃ রবিউল গাজী হাইমচর উপজেলার ২নং আলগী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর বিঙ্গলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় দিনমজুর। অসুস্থ মুজাহিদের মা মরিয়ম বেগম জানান, আমার ছেলে অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পরে আমি তার চিকিৎসা করাতে পারবো কি না তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। পরে রেদোয়ান খান বোরহান সাহেব আমার ছেলের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার গ্রহণ করেন। এতে আমাদের পরিবারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমি বোরহান সাহেবের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করি।
এলাকাবাসী জানান, সিএনজি অটোরিকশা অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেলে মুজাহিদের পরিবারে নেমে চরম হতাশা। আমরা স্থানীয়ভাবে এলাকা থেকে চাঁদা কালেকশন করে মুজাহিদের প্রাথমিক চিকিৎসা করেছি। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়।
রেদোয়ান খান বোরহান জানান, আমি গণমাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জেনে ও পরিবারের পক্ষ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমার সাধ্য অনুযায়ী অসহায় এই শিশু ছাত্রের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এবং তার চিকিৎসার সকল খরচ বহনে থাকবে আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা।