• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে

আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে ভালোবাসার মূল্য দিলো প্রেমিকা

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বিশ^ ভালোবাসা দিবসে আত্মহত্যা করে ভালোবাসার প্রতিদান দিলো প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর শহরতলীর বাবুরহাট এলাকায়। চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের বাবুরহাট এলাকার মাল পরিবারে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। বাবুরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির দুলাল মালের ছোট ভাই কামাল হোসেন মালের বড় মেয়ে বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী কারিমা আক্তার (১৬) আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সকালে নিজ কক্ষের জানালার গ্রীলের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

কারিমার পিতা কামাল হোসেন মাল জানান, ৩ মেয়ে ১ ছেলের মধ্যে কারিমা সবার বড়। সকাল ৭টার দিকে সে মাদ্রাসায় পড়–য়া তার ছোট ২ মেয়েকে মাদ্রাসায় নাস্তা দিতে যান। এ সময় কারিমা তার কক্ষে শোয়া ছিলো বলে তিনি জানান। তাঁর স্ত্রী অন্য কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘন্টাখানেক পর তিনি বাসায় এসে দেখতে পান কারিমার কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তিনি দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান জানালার গ্রীলের সাথে কারিমার নিথর দেহ ঝুলছে। তড়িঘড়ি করে ঝুলন্ত অবস্থায় তিনি কারিমার নিথর দেহ নিচে নামিয়ে আনেন।
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে সে তার পছন্দের ছেলেকে (প্রেমিক) বিয়ে করতে বাবা-মায়ের কাছে বায়না করে। কিন্তু পরিবার তার কথায় অমত পোষণ করে। তারা বলেন, আগে তুমি পড়ালেখা শেষ করো, তারপর বিয়ের কথা আমরা চিন্তা করবো। কিন্তু কারিমা তার অবস্থানে অনড় ছিলো। ফলে পরিবারের সদস্যদের সাথে অভিমান করে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, কারিমা কয়েক বছর আগে অন্য এক প্রেমিকের সাথে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পারিবারিকভাবে মীমাংসা করা হলে ওই যুবক (প্রেমিক) অন্যত্র বিয়ে করে বর্তমানে সংসার করছে। ফলে কারিমাও ছিলো নতুন প্রেমিকের সন্ধানে। কারিমা চাঁদপুর শহরের কোনো এক নেশাগ্রস্ত যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু পরিবার তার এ প্রেম মেনে নেবে না এমন কথায় গত ৩দিন আগে তাকে জানিয়ে দেয়ার কারণে শয়নকক্ষে বসে নিজের হাত নিজেই কেটে সাদা কাগজে কী যেন লিখে।
এদিকে এই তরুণীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাঁদপুর সদর (সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন, চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) এনামুল হক চৌধুরী, উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। পুলিশ কর্মকর্তারা কারিমার রক্তমাখা কাগজগুলো উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্যে লাশ চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত